Saturday, June 13, 2020

তৃণমলের মা মাটি মানুষ এর বর্তমান অবস্থা, আর আমার মত একজন তৃণমূলের প্রথম দিনের সৈনিকের আজকে তৃণমূলের সমালোচনা এবং করোনা মোকাবিলায় মমতা ব্যানার্জির ব্যর্থতার ও বর্তমান অসহায় দশার কারণ বিশ্লেষণ।

কেউ কেউ করোনা আর আমার বর্তমান সমালোচনা সহ্য করতে পারছেন না।
তাদের বলি:
অসৌজন্য, আর দুর্নীতির রাজনীতি এর প্রতিবাদ করে আমিতো প্রায় এক বছর আগেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছি।
সেটা তো প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন এই বলেছিলাম।
চড়, কোমরে দড়ি এইসবে আমি নেই আবার পরে চড়টা আদর বা কোমরে দড়িটা পায়ে পড়ি তাতেও আমি নেই।
প্রতিহিংসা, গালাগালি, ব্যক্তিগত আক্রমণ, খুনোখুনি, পুলিশি অত্যাচার এসবের রাজনীতি আমি সমর্থন করিনা।

YouTube Link:
https://youtu.be/5L_3QSigsh0

আর বাকিটা বললে তো পুরোটাই খুলে বলতে হবে।।

তার আগে আমাকে দেওয়া হুমকির জবাবে আমার এই ভিডিওটি দেখুন।

"সোজা সাপটা" স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় ~ "তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়েছে"। 
কেন জানতে দেখুন এই ভিডিও।
দয়া করে পুরোটা শুনুন।
YouTube: https://youtu.be/AXDtEiQqd_8

কে যেন বলেছিল করোনা একটা চক্রান্ত, দিল্লির দাঙ্গা থেকে মানুষকে ভ্রমিত করতে?

কে যেন অপদার্থ প্রশাসক বসিয়ে রেখেছে শুধু সে দুধেল গাই বলে?
কে যেন দুধেল গাইদের ছার দিয়ে রেখছেন এখন অবধি, এবং লাথিশ্রী পুরস্কার বিতরণ করেন।

আর দুধ দেওয়া প্রশাসন আকশি দিয়ে মৃতদেহ টানাটানি করে, সেগুলোও তো বলতে হয়।

আর দুর্নীতি সিন্ডিকেট কাটমানি এসব তো দলে থাকতেই প্রতিবাদ করেছিলাম।
এরা জয় বাংলা বলে পার্টির কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিহারী পরামর্শ দাতা এনে যে কথাটা বলল, সেটা বহুদিন আগেই বলেছি।
আমার ব্লগে পরে দেখ এমনকি কালিয়াগঞ্জ দাঙ্গার সময়ই বলেছিলাম আইনের চোখে সবাই সমান।

এখন তো "অনুগামী" প্রধান ও inactive, আর কতদিন থাকবেন কেউ জানে না।

দুধ দেওয়া প্রশাসকের ব্যর্থতার কথা প্রকাশ করতে সাধন পান্ডেকে "শো কজ" করা হল, সুব্রত মুখার্জীকে ঘুরিয়ে কথা শোনাল।

তৃণমূল কংগ্রেস এখন তৈল মর্দনকারি আর দুধেল গাইদের জন্য।
তৈল মর্দন করলে কর্নেলের মতন চরম ব্যর্থ (অতগুলো লোকসভা দায়িত্ব নিয়ে দলকে হারাল) লোকও পুরস্কৃত হন, বালুদা (উত্তর ২৪ পরগনায় ভরাডুবি) ও বক্সীদার (এর কথাতো যত কম বলা যায় তত ভাল, সবার মাথায় ওপর বসে মুখ খ্যেচায়.. শান্তনু ঠাকুর নাকি বাচ্চা ছেলে, তাকে দলে নেওয়া যায় না ইত্যাদি) মত অযোগ্য লোকেরাও পদ এ থেকে যায়। 
আর কিছু হাততালি মার্কা যাত্রাদলের বা নকশাল গণসঙ্গীত গোছের চ্যংড়া বা আঁতেলরা টিভিতে ভাট বকে ও জয় বাংলা বলে "মম" সহযোগে মহানন্দে দিন কাটায়।

আর দুধেল গাই:
আমি বারবার বলেছি, মালদা, বহরমপুর, রায়গঞ্জে জীবনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে না।
তাও মাননীয়া যদি লাথি খেতে চান, তো ভালই।।

তাই তৃণমূলের:

মা আজ দুধেল লাথি খাচ্ছে...
মাটি আজ সিন্ডিকেট এর দখলে...
ভাল মানুষরা আজ আর সঙ্গে নেই।।


আমি তো একবছর আগেই লিখেছিলাম:
তৃণমূল কংগ্রেসের পতনের কারণ ও আন্ত্মসমালোচনা, একটি কাল্পনিক প্রতিবেদন। Reasons for downfall of Trinamool Congress and Self Criticism by few veteran TMC men ~ A fictional article.
Link:

আমার এক ফেসবুক বন্ধু পিনাকী মুখোপাধ্যায় এর সংযোজন:
--_---------_-----
"আমি একটা সময় দিদির অন্ধভক্ত ছিলাম। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত আর রাতারাতি বিরোধীশূণ‍্য করতে গিয়ে বেনোজল ঢোকানো দেখে হতাশ হয়ে গেছি। যারা এখন নীচুতলায় তৃণমূলের নেতা হয়ে ছড়ি ঘোরায় তারা ২০১১ এর আগে অবধি বেশিরভাগ লাল ঝান্ডার আশ্রয়ে ছিল। ফলে যত সময় এগিয়েছে পুরোনো লোকেরা যারা প্রথম থেকে দলটাকে ভালবেসে সমর্থন করতো তারা হয় পেছনের সারিতে চলে গেছে নাহলে বসে গেছে। 

দিদি বরাবরই আবেগপ্রবণ রাজনীতি করতেন। কিন্তু প্রশাসক হিসেবে ওই পদ্ধতি নেবার ফলে ব‍্যাপারটা খামখেয়ালিপোনা হয়ে গেল। সাথে ওনার বরাবরের অভ‍্যেস কারুর কথা না শোনা। ওনার মতের সাথে সহমত না হলেই তাকে দুরে ঠেলে দেওয়া। 

ফলে একদল স্তাবক পরিবেষ্টিত হয়ে গেলেন অচিরেই। খুব দুঃখ লাগে ভাবলে যে ২০১১ তে উনি যে পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন সেটা মূলত জার্সি পরিবর্তনেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেল। 

আর প্রতিহিংসার রাজনীতি বা তোষণের রাজনীতি নিয়ে আপনি অনেকটাই বলে দিয়েছেন। 

শুধু একটা জিনিস বলতে চাই, আমার মাতৃভাষার কিছু শব্দ সাম্প্রদায়িক এবং প্রজন্মের পর প্রজন্ম বলে আসা সেই শব্দ কারুর ভাবাবেগে আঘাত লাগার অজুহাতে বদলাতে হবে, এগুলো প্রশাসকের পক্ষপাতিত্বকেই বেশি করে ফুটিয়ে তোলে। বিগত কয়েকদিনে সোশাল মিডিয়ার মাধ‍্যমেই জানতে পারলাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষা দপ্তর "রোমিং থেকে রাম শব্দটা এসেছে" "রামধনু হয়ে গেল রংধনু" বা আদি ভারতের অধিবাসীরা বিদেশীদের কাছে যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় তাদের রাক্ষস বলে দাগানো হয়েছে বলে শেখাচ্ছে তাদের প্রকাশিত পাঠ‍্যপুস্তকে। 

এগুলো কি সত‍্যিই শিশুপাঠ‍্য? না সংকীর্ণ রাজনীতির কারনে বিশেষ কাউকে খুশী করতে করা হল? যত মানুষ এগুলো দেখে খুশী হয়েছে, আত্মপ্রমোদ লাভ করেছে, তার থেকে অনেক বেশি মানুষ কিন্তু হতাশ হয়েছে।

খুব সোজাসুজি সত্যিটা বলেছেন। আপনাকে ধন‍্যবাদ।"

----------------

Please  see oposts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Jai Hind!! Saroop Chattopadhyay.

No comments:

Post a Comment

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...