Tuesday, July 30, 2019

বিকল্পের পথে আগামীর পথ চলা শুরু হল। জাতীয়তাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির যাত্রা শুরু, চিরাচরিত স্রোতের বিপক্ষে। #NTCP Nationalist Trinamul Congress started their journey against the conventional Politics of money, muscle & Police power from 31st July 2019.

ন্যাশনালিস্ট তৃণমূল কংগ্রেস পার্টি হলো একটি সম্পূর্ণ নতুন ভাবনা, নতুন দল।

কলিকাতা প্রেস ক্লাবে ৩১ শে জুলাই এই দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

চিরাচরিত স্রোতের বিপরীতে গিয়ে শ্রী অমিতাভ মজুমদার গঠন করেছেন।

ওনার সঙ্গে স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় মাশ্চারাক, কাঞ্চন মৈত্র, মিতা চ্যাটার্জী এবং আরো কিছু সৎ ও সমাজসবক মানসিকতা সম্পন্ন রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজবীগণ আছেন ও পরামর্শ দাতা হিসেবে শ্রী সুপর্ন মৈত্র ও শ্রীমতী বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় রয়েছেন।



এই দলের মূল উদ্দেশ্য ও দাবীগুলি হলো:

১) আজ রাজনীতির আঙ্গিনায় অত্যন্ত প্রয়োজন "শিষ্টাচার -- সৌজন্যবোধ -- সহিষ্ণুতা"।

ওনাদের আবেদন:

বাংলায় ফিরে আসুক গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিষ্টাচার, সৌজন্য, বন্ধ হোক খুনোখুনি।
https://youtu.be/5L_3QSigsh0


২) বাংলায় ফিরে আসুক গণতান্ত্রিক পরিবেশ, আওয়াজ উঠুক স্বৈরতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে।

৩) চাই আইনের শাসন, পুলিশি শাসন প্রয়োগের লাগাতার প্রতিবাদ চাই। রাজ্যবাসীর মানবধিকার রক্ষা করতে হবে।

৪) কর্মসংস্থান এর রূপরেখা ও বিগত ৮ বছরের কর্মসংস্থান শিল্পের প্রসারে এ রাজ্য সরকারের দাবির সত্যাসত্য প্রমাণ করতে শ্বেতপত্র প্রকাশ এর দাবি করছি।
Logistics hub কোনো শিল্প নয়।

৫) রাজ্যে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদির সর্বস্তরে সমোবন্টন করতে হবে এবং সেটা কাটমানি ছাড়া।

৬) ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মীয় "তোষণ ও শোষণ" এবং তার সাথে ধর্মীয় উন্মাদনার নিন্দা করছি।

৭) অবৈধ কয়লা পাচার, গরু পাচার এবং বালি খাদান এর বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং প্রয়োজনে আইনী লড়াই করা হবে।

৮) অবৈধ নির্মাণ, জলাভূমি ভরাট ও প্রোমোটার দের জুলুম বন্ধ করতে হবে।
এলাকার কাউন্সিলর দের *প্রোমোটার -- ইন -- চার্জ* ও তোলাবাজ হাওয়া বন্ধ করতে হবে।
শুধুমাত্র কাট মানি এর জন্য উন্নয়নের নামে একই রাস্তা বারবার খুড়ে জনগণের অসুবিধা বন্ধ করতে হবে।

৯) রাজনৈতিক হিংসা ও খুনোখুনি অবিলম্বে বন্ধ করা প্রয়োজন।

১০) কাটমানি, ব্ল্যাকমানি ও চিটফান্ড মানি ফেরত চাই।

চিটফান্ড এর বেশিরভাগ অর্থ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বা নেতা নেত্রী দের পকেটে গেছে কিন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজেন্ট দের সম্পত্তি বিক্রী করে তা মেটাতে হোয়েছে বা তাদের তাদের আত্মহত্যা করতে হয়ছে যার প্রতিকার চাই।

১১) ব্যালট নয় EVM এ চলুক, কিন্তু VVPAT গণনা বাড়ানো হোক।
ব্যালট পেপার হলে ছাপ্পা ভোট বৃদ্ধি পাবে।

১২) কলেজের ভর্তিতে তোলাবাজি বন্ধ হোক, ও ভর্তি centralized online এর মাধ্যমে হোক।

১৩) ছাত্র শূন্য বিদ্যাল়গুলোর শিক্ষক শিক্ষিকা দের যেখানে প্রয়োজন সেখানে পাঠানো হোক।

১৪) শিক্ষক নিগ্রহ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

১৫) বিভিন্ন সরকারী প্রকল্পের ১০০ শতাংশ লাভ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছক, একই ভাবে কৃষক দের ন্যাযযমূল্য প্রান্তিক চাষী র কাছে পৌঁছোক।

১৬) বিগত ৮ বছরে পশ্চিমবঙ্গে মদের দোকান ও বার এর লাইসেন্স কত শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কিসের বিনিময়ে তা দেওয়া হয়েছে, জানতে চাই।

১৭) পরিকল্পনা অনুযায়ী satellite township গড়ে তুলতে হবে।
Unplanned growth of township and cities বন্ধ করতে হবে।

১৮) শিল্প, ব্যবসা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তোলাবাজি বন্ধ করতে হবে। এর জন্য বাংলায় বড় শিল্প আসছে না।

১৯) ৩টাকা ২০ পয়সা হারে বিদ্যুৎ কিনে শুধুমাত্র distribution করে তা ৯টাকা ৫০ পয়সা প্রতি ইউনিট বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে।

২০) জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারী ও শিশু নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

জনগণের উদ্দশ্যে এই দলের বার্তা:
সুস্থ্ থাকুন, ভালো থাকুন ও নিরাপদে থাকুন।
যারা তোলাবাজি ও জুলুমবাজী করছে আমাদের জানান, আমরা আমাদের লিগ্যাল সেল ও মানবাধিকার সেল এর মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।

Plz see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.
 Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Monday, July 29, 2019

কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়লে ঘরটাই ভাঙবে, লাভ কিছুই হবে না !! মুর্শিদাবাদের শিক্ষক শ্রী দিলীপ সিংহ রায় এর একটি সময়োপযোগী লেখা।

শিক্ষক মহাশয় ও সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য বেতন, ডিএ, বিধায়কদের নানান দাবি প্রভৃতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী গলা উঁচিয়ে আঙুল তুলে বললেন," সব সময় এটা দাও, ওটা দাও বললে হবে না। সরকারের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, এটা বুঝতে হবে। টাকা আসবে কোত্থেকে?"

কথা গুলো শোনার পর থেকেই কিছু লেখার ইচ্ছা হচ্ছে? নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অমোঘ প্রশ্ন, আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, টাকা আসবে কোথা থেকে? প্রশ্ন গুলো বারবার আমাদের মাথায় এসেছে। কখন কখন মনে হয়েছে সে কথাই বলবো।আগে বলি, আমি কথাগুলো বলছি কেন? বলছি কারন আমাদের প্রাপ্য দেবার প্রসঙ্গে,আর নাগরিক পরিষেবার ক্ষেত্রে তিনি কথাগুলো বলেছেন।তাই আমাকে ভাবিয়েছে বেশি। শুধু কাল নয়, আগেও বলেছেন মাইনে দিতে সব টাকা চলে গেলে, উন্নয়ন হবে কিসে?

প্রশ্ন এখানেই, সরকারে বসার সময়ই তো জানা ছিল সরকারি কর্মীদের বেতন দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। কেন্দ্রের সমান ডিএ বা অন্য রাজ্যের সমান স্কেল পাবার অধিকারও যে ন্যায্য দাবী তাও তো জানতেন। আজ ডিএর দাবিকে ঘেউ ঘেউ মনে হলেও,এক কালে সেই ঘেউ ঘেউ সরি দাবিতে আপনি সহমত ছিলেন। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেবার আশ্বাসও তো দিতেন। তখন সরকারের আর্থিক অবস্থা নিশ্চয়ই ভালোই ছিল। তাই বকেয়া মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাহলে আজ সরকারের আর্থিক দুরবস্থার দায় কার?

আপনি এককালে বলতেন আগের সরকার ঋণে ডুবিয়ে দিয়ে গেছে রাজ্যটাকে। তখন দেনা ছিল কতো ১ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকার মতো। সবটাই কিন্তু বাম সরকারের করা নয়। বাম সরকার আসার সময়ই রাজ্যের মাথায় ছিল প্রায়৭০হাজার কোটির ঋণ। তার পর ৩৪ বছরে ঋণ বেড়েছিল অনেকটাই। তারপর এলো এই সরকার। নতুন অর্থমন্ত্রী, নতুন দিশার আশায় অপেক্ষা করলাম আমরা। পেলাম কী? ১লক্ষ ৯০ হাজার কোটির ঋণ ৪ লক্ষ কোটি ছাড়িয়েছে আজ। তখন রাজ্য ঋণে ডুবে থাকলে এখন কোন অতলে? জানতো না সরকার?

আপনি আজ বলছেন রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। টাকা আসবে কোথা থেকে? আমরা এই কথা গুলোই ভেবেছিলাম সেই দিন, যখন রাস্তার হ্যালোজেনের নিচে নিচে বসলো ত্রিফলা। আমার মতে নিস্ফলা। কোন প্রয়োজন ছিলোনা। গ্রামের অন্ধকার রাস্তায় লাগানো হলে কাজে লাগতো। এরা সৌন্দর্য হয়তো বাড়ালো, কিন্তু খরচ বাড়ালো বহুগুন। ইলেকট্রিকের অপচয়, বলবে কে? তারপর তার পোস্ট গুলোও সাজলো রঙিন আলোয়। আর আলোর ঝলকানির নিচে বাড়ল ঋণের বোঝা।মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে গিয়ে সারা শরীরটাই শুকিয়ে গেলো। মনে হয়নি সেদিন টাকা আসে কোথা থেকে?

টাকা খরচ, উন্নয়নে ব্যয় এক জিনিস, আর অপচয় অন্য কথা। রাজ্যে শুরু হোল টাকা অপচয়। রাস্তা ঘাট ব্রিজ ল্যাম্পপোস্ট সব নিল সাদার হিড়িক লাগলো। সদ্য রঙ করা অফিস, স্কুল আবার নতুন করে রঙ করাতে বাধ্য করা হল।আমাদের মনে হোল টাকা আসে কোথা থেকে? শুরু হল উৎসবের ঝড়, মাটি উৎসব,সবলা মেলা, হস্তশিল্প মেলা,সিনেমা উৎসব কোটি কোটি টাকা খরচ। মনে হয়নি আর্থিক অবস্থা খারাপ? প্যাটেলের মূর্তির খরচ নিয়ে অনেক কথা উঠেছে, কিন্তু পাড়ায় পাড়ায়, মোড়ে মোড়ে, পুজো থেকে মেলা,রথ থেকে ঈদ, সিনেমা থেকে যাত্রা,খবরের কাগজ থেকে টিভি সর্বত্র বিশাল বিশাল অগুনতি মুখের ছবি।কার খরচে? কার টাকায়? 

চলল দানছত্র। ইমামভাতা, বিষমদ, দুর্গাপুজো, মেয়ের বিয়ে, ক্লাবের দুই লক্ষের হুল্লোড় সব জায়গায় হরির লুট।স্কুলে স্কুলে সাইকেল বিলি, যাদের প্রয়োজন নেই তাদেরও জোর করে দেওয়া হোল ব্যাগ,ছাতা,জুতো,খাতা,সাইকেল সবকিছু।অনেক ক্ষেত্রেই পড়ে পড়ে নষ্ট হলো দান সামগ্রী। বহু স্কুলে হলো জিম।স্কুলে তো আর অফ পিরিওড থাকে না। তাহলে জিম করবে কখন? সপ্তাহে একটা দুটো শরীর শিক্ষার ক্লাসে তো আর জিম হয় না। নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়।তাই অনেক ক্ষেত্রেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে ২ লক্ষ টাকার সামগ্রী। টাকার অপচয়। আসলে অন্যের টাকা, জনগনের করের টাকা বিলোতে ভালো লাগে, মহান হওয়া যায় কতো সহজে। 
তাই কাউকে ধামসা মাদল,কাউকে উত্তরীয়, কাউকে বিভুষণ পুরস্কার দেওয়া হতে লাগলো। সস্তা জনপ্রিয়তা। 

উন্নয়ন ভেবে উদ্বাহু নৃত্য সহযোগে প্রচার শুরু হোল। কেউ ভাবলো না, টাকা আসে কোথা থেকে? আজ হুঁশ ফিরেছে।
এখানেই শেষ নয়, অফার আরো আছে।যুব বিশ্বকাপ হলো, স্কুলে স্কুলে পাঁচটা করে ফুটবল দেবার এক বিরাট মোচ্ছব হলো।কন্যাশ্রী বিদেশে প্রাইজ পেলো,শুরু এক মাস ব্যাপী উৎসব। একতাই সম্প্রীতি নামে কদিন চললো হুল্লোড়। লাভের গুড় পিপড়ে খেয়ে গেলো।

চিট ফান্ডের  চ্যানেল কিনলো সরকার।সিবিআই আটকানোর জন্য মামলায় গেলো কয়েক কোটি।সিঙ্গুরের শিল্প ভেঙে পতিত জমি বানাতে খরচ হলো কয়েক শো কোটি। শিল্প আনতে কবি সাহিত্যিক সিনেমা স্টার পরিচালক পরিবেষ্টিত হয়ে চললেন বিদেশ, কাজের কাজ লবডঙ্কা। নাইট রাইডার্স কাপ জিতলো,সরকারি টাকার শ্রাদ্ধ করে বিশাল হুল্লোড়। জেলায় জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকের নামে যে কতো কোটি গেলো কে রাখে তার হিসাব? এরপরেও আছে। 

বিধায়ক মন্ত্রীদের বেতন ৮০০০ থেকে বেড়ে লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গেলো। কেউ ভাবেনি সরকারের আর্থিক অবস্থা খারাপ।
সরকার হয়ে গেল করে খাওয়ার জায়গা। মন্ত্রীদের মতো সুযোগ সুবিধা দিয়ে বিভিন্ন উপদেষ্টার পদ তৈরি হলো।সুবিধা পেলো পেটোয়া কিছু লোক।বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন কমিটির মাথায় বসলেন মোটা অর্থের বিনিময়ে। বিভিন্ন কমিশন তৈরি হলো। খরচের কোনো হিসাব নেই। কোনো কমিশনই কাজের কাজ কিছু করতে পারলো না। টাকার শ্রাদ্ধ হলো।সেফ ড্রাইভের পোস্টার, গান, অনুষ্ঠান, পদযাত্রায় মেতে উঠলো রাজ্য। কোটি কোটি খরচের পর আ্যক্সিডেন্ট  কতোটা কমলো, তার খবর রাখে কে?

এদিকে জন মোহিনী হবার লোভে জলকর, তীর্থ কর তুলে দিলো সরকার। সংকুচিত হলো আয়ের রাস্তা। শিল্প নেই, কাজ নেই তাই বিভিন্ন ভাতা দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকলো সরকার। জলের মতো বেরিয়ে গেলো জনগণের অর্থ। একটা ক্লাব চালাতে গেলেও নির্দিষ্ট বাজেট পরিকল্পনা থাকে, এখানে সেসবের ধার ধরলো না কেউ। ফল, রাজ্য ডুবলো ঋণের অতলে।

মোদ্দা কথা রাজ্যের অর্থনীতি আজ গভীর সংকটে। এ থেকে মুক্তি কিভাবে আসবে কেউ জানে না। জি এস টি থেকে রাজ্যের আয় অনেক বাড়লেও সরকারের পরিকল্পনা হীন ব্যয়ের জন্য রাজ্যের এই অবস্থা। রাজ্যের অর্থনীতির অবস্থা, সরকারি কর্মীদের দাবির যৌক্তিকতা সব দিক বিবেচনা করেই স্যাট তার রায় দিয়েছে। সরকার মানবে কিনা সেটা সরকারের হাতে।

কিন্তু কর্মচারীদের মাইনে দিতে গিয়ে সরকারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে, দেনার দায়ে ডুবতে হচ্ছে, উন্নয়ন বন্ধ করতে হচ্ছে এমন অসত্য প্রচার করে সর্বস্তরের সরকারি কর্মচারী, সর্বস্তরের শিক্ষক-শিক্ষিকা-শিক্ষাকর্মী, এবং  শিক্ষার সাথে যুক্ত কর্মীদেরদের জনসমক্ষে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো থেকে বিরত থাকায় শ্রেয় !!
মনে রাখতে হবে, তাদের পরিবার পরিজন ধরলে কয়েক কোটি ভোটের মালিক তারা, ভোট মেশিনারি তারা ??
কাচের ঘরে বসে ঢিল ছুড়লে ঘরটাই ভাঙবে,
লাভ কিছুই হবে না !!


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Tuesday, July 23, 2019

পশ্চিম বাংলায় শিক্ষকেরা এখন জীবন্ত লাশ। এক শিক্ষকের লেখা প্রতিবাদী কবিতা।

জীবন্ত লাশ !!

পথে সারি-সারি প'ড়ে আছে যেন 
        জীবন্ত সব লাশ ! 
অতি সযতনে মানব-জমিনে 
       এঁরাই করেন চাষ!!

সত্যিই তাঁরা পথে ব'সে আজ;
       চিনতে পারেন কেউ?
গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে প'ড়েছে  
       এ বিদ্রোহের ঢেউ !

এঁদের কেউবা দিদিমণি, আর 
      কেউ কেউ মাস্টার !
 হাতে থাকবার কথা টি.এল.এম.     
      চক আর ডাস্টার!

আজকে এঁরাই শুয়ে-ব'সে দেখি 
      খোলা রাস্তার 'পরে!
মানুষ গড়ার কারিগর এরা 
      দেখে চোখ জলে ভরে!


মাঝে মাঝে নানা বিদ্বজ্জন 
     পাশে দাঁড়িয়েছেন এসে;
তাদের কথায় গানে কবিতায় 
    মনটা গিয়েছে ভেসে!

"ন্যায্য পারিশ্রমিক পান না 
      সেটা সরকারি  দোষ!"
গলা উঁচু ক'রে বলে গিয়েছেন 
     কবি শ্রী শঙ্খ ঘোষ ! 

আমাদের এই দুরবস্থায় 
     অনেকেই এসেছেন : 
সমীর আইচ থেকে শুরু ক'রে     
       মন্দাক্রান্তা সেন !

এঁরা ছাড়াও বেশ কিছু রাজ-
        নৈতিক ব্যক্তিত্ব,
এসে পজিটিভ বক্তৃতাতেই 
       ভরিয়ে দিলেন চিত্ত !

কখনো বা ওমপ্রকাশ মিশ্র
        কখনো সব্যসাচী!
সরকার সেই কথা শুনলেই
       আমরা যে প্রাণে বাঁচি !

ধর্ণা-মঞ্চে এসেছেন শ্রী 
        সুজন চক্রবর্তী,
বক্তৃতাতেই করেছেন আজ 
        শূন্য এ মন ভর্তি!

ভারতী ঘোষও এসেছিলেন 
       শোনাতে আশার কথা !
সবাই ভাবেন ভাষণ শুনেই 
         ঘুচবে মনের ব্যথা !!

কাউকেই ছোট না করেও বলি 
       অনেক বছর আগে,
এই বঞ্চনা হয়েছিল শুরু 
      মনে সেই স্মৃতি জাগে !

সহানুভূতি দেখাননি কেউ 
        বাম-ডান সরকার, 
তাইতো আজও আমাদের মনে
        জমাট এ অন্ধকার !

বিরোধী দলে থাকলে সবাই 
       আশার কথাই বলে,
সংকটকালে ভোটগুলো চায়
       ছলে বলে কৌশলে !

মমতা ম্যাডাম থাকতেন যদি 
       আজকে বিরোধী দলে,
 আসতেন অনশনের মঞ্চে
         তিনিও সদলবলে !

আমরা এসব দেখে শুনে বেশ
       পারি আন্দাজ করতে,
নিজের স্বার্থে অনেকেই আসেন 
     ঘোলা জলে মাছ ধরতে!

যদিও আমরা চাই না এখানে 
      হোক কোনো রাজনীতি,
আসুন তাঁরাই, আমাদের প্রতি
      রয়েছে যাঁদের প্রীতি !

সকলের মুখে শুনি একই কথা 
      আমরা যে বঞ্চিত!
এত দিন ধ'রে অনশন ক'রে 
      তবু আজও লাঞ্ছিত !

আমরণ এই অনশন যবে
      অষ্টম দিনেতে পড়লো!
শিক্ষামন্ত্রী ডেকেছেন, শুনে 
     ভেবেছি টনক নড়লো !

অনেক আশা নিয়ে বেঁধেছিলাম 
       রিক্ত শূন্য বুক !
এ বৈঠকও দেখতে পেলো না
        প্রিয় সাফল্য-মুখ।

ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী বোধহয় 
      এখনো সময় পাননি; 
তাই তিনি এই অনশন-স্থলে  
     একটি বারও যাননি!

এই রাজ্যের নানা জেলা থেকে
       শিক্ষিকা-শিক্ষক!
পালা করে একে-একে আসছেন
       ছেড়ে ডাস্টার-চক।

কেউ এসেছেন পিতা বা মাতার 
       মৃত্যুতে গুরুদশায় !
অস্বাস্থ্যকর অনশন-স্থলে
     ভরা যা মাছি ও মশায়!

মানব-দরদী সরকার, এখনো 
      তোমার কি চোখ অন্ধ? 
পানীয় জল যা পাচ্ছিলাম, তা
       কেন হয়ে গেল বন্ধ ?

এই অনশন-স্থলের কাছেই 
        সরকারি ক্যান্টিনে,
অনেক টিচার খাবার খেতেন 
        রাত্রে এবং দিনে !

কার অঙ্গুলি-হেলনে হঠাৎ 
      সেটাও যে হলো বন্ধ ! 
অনেকেই খুঁজে পাচ্ছেন এখানে 
         ষড়যন্ত্রের গন্ধ !!

ওগো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী,
       আর তো সময় নাই ,
আন্দোলনে এবার আপনার 
        হস্তক্ষেপ চাই !!

একাধিকবার আমরা দেখেছি 
       তব মানবিক মুখ !
ন্যায্য বেতন চাইছি আমরা 
       কেউ নই ভিক্ষুক !

পি. আর. টি.-এর স্কেলটাই চাই     
         যোগ্যতাভিত্তিক !
এ আন্দোলন ভরিয়েছে তাই 
           রাজ্যে চতুর্দিক !!

আপনাকে পাশে পেয়েছে মানুষ
       সিঙ্গুরে নন্দীগ্রামে !
তবু কেন সাড়া নেই আপনার
        আমাদের সংগ্রামে ?

রাজ্যের যত প্রিয় প্রাথমিক 
         শিক্ষিকা শিক্ষক,
দেখেছি আমরা "আন্দোলন" আর 
         "মমতা" সমার্থক !

যদিও সমস্যাটার শুরু
      হয়েছিল বাম-আমলে,
 তখন আমাদের আন্দোলনের 
       সূত্রপাতটা হলে--

বিরোধী নেত্রী  আপনি তখন
      আমাদের পাশে থাকতেন!
হয়তো এমনই ধর্ণা-মঞ্চে 
      একসাথে রাত জাগতেন !

আপনার জ্বালাময়ী ভাষণেতে
       রুখতো তা কার সাধ্য ?
বাম সরকার পি.আর.টি.-এর 
       স্কেল দিতে হ'তো বাধ্য!

মাননীয়া ম্যাম, আপনাকে দেখে 
         শিখেছি আন্দোলন,
দাবি না মানলে করতেই হবে 
         আমরণ অনশন !

তাইতো আজকে ধর্ণা-মঞ্চে 
       হয়েছি যে সমবেত,
দীর্ঘদিনের সমস্যাটার 
       সমাধান অভিপ্রেত !

আজকে নবম দিনটাও পার 
      হয়ে গেল নিষ্ফল,
না কমে বেড়েছে এই অন-
       কারীদের মনোবল!!

আমরণ এই অনশন-ফলে
       হ'লেই কাউকে মরতে,
সারাটা জীবনে পারবেন ম্যাম 
       নিজেকেই ক্ষমা করতে ?

রুখতে ঘটনা দুঃখজনক 
       আপনার প্রিয় বঙ্গে !
বিষয়টা নিয়ে ভাবুন ম্যাডাম   
      সহানুভূতির সঙ্গে !

হাজার দিবস-রাত্রি কেটেছে 
      তীব্র বঞ্চনাতে ! 
সমস্যাটার সমাধান হোক
     ম্যাডাম, আপনার হাতে !!

শিক্ষক আন্দোলনে সেইটাই
      হয়ে যাক ইতিহাস !
নইলে ভবিষ্যতে আমাদের 
          সমূহ সর্বনাশ !!

Please view other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.  Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Saturday, July 6, 2019

বাংলায় সর্বক্ষেত্রেই সৌজন্যতা, শিষ্টাচার ও সহিষ্ণুতা আবার ফিরিয়ে আনার ও বাংলার হৃতগৌরব কে পুনরুদ্ধার করার উদ্দেশ্যে "বঙ্গ জাগরণ" নামক অরাজনৈতিক মঞ্চের যাত্রা শুরু হল।।

এই নতুন "বঙ্গজাগরণ মঞ্চ" এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হল আজ ২০শে আষাঢ় ১৪২৬ (6ই জুলাই'19) সল্টলেকের ডি ডি ব্লকের তাম্বুলি মহাসম্মেলনের সভা ঘরে।।

উপস্তিত ছিলেন শ্রী অমিতাভ মজুমদার, জাস্টিস সৌমিত্র সেন, শ্রীমতী সোনালী কাজী, শ্রী তন্ময় রুদ্র, শ্রী জ্যোতির্ময় গোস্বামী, শ্রীমতী ইন্দ্রানী দত্ত, শ্রী স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়, ড: কাঞ্চন মৈত্র, বলাই চন্দ্র চক্রবর্তী, মোঃ ফরিদ খান, সর্দার জগতজিৎ সিং, শ্রী তন্ময় মাশ্চারক, শ্রী সুমন্ত্র গুহ, মোঃ মফিকুল ইসলাম সহ আরো অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সমাজের সকল শ্রেণীর বঙ্গ প্রেমী জনগন।।

সভায় এই মঞ্চের নাম চূড়ান্ত করা ছাড়াও আগামী দিনের কর্মসূচি ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।।


এই অরাজনৈতিক মঞ্চের মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলায় সর্বক্ষেত্রেই
সৌজন্যতা
শিষ্টাচার
সহিষ্ণুতা
আবার ফিরিয়ে আনা ও বাংলার হৃতগৌরব কে পুনরুদ্ধার করা।।

এছাড়া বাংলার সার্বিক অবস্থার উন্নয়ন এবং বিকাশ করার লক্ষেও এই মঞ্চ সকলকে (যারা বাংলা কে ভালোবাসেন) একসাথে নিয়ে কাজ করবে।।


যারা এই মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, আপনাদের সকলের সহযোগিতা, শুভকামনা আর আশীর্বাদ নিয়েই আমরা আমাদের এই বঙ্গকে আবার জগৎ সেরা করার পথে চলতে চাই।।

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! 
Saroop Chattopadhyay.

Pancreatic Cancer Medicine discovered by a Bengali Scientist Dr. Animesh Dhar. অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমকে দিলেন আমেরিকার বাঙালি বিজ্ঞানী অনিমেষ ধর এবং ওনার টিম।

আমরা গর্বিত .....অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমকে দিলেন আমেরিকার বাঙালি বিজ্ঞানী। 

প্যানক্রিয়াস বা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার খুব সহজে ধরা পড়ে না। কিন্তু যখন ধরা পড়ে, তখন দেখা যায়-অনেক দেরি হয়ে গেছে। চিকিৎসার আর বিশেষ সময়ই থাকে না। এবার জটিল এই রোগ নিয়ন্ত্রণের ওষুধ আবিষ্কার করে বিশ্বকে চমকে দিলেন এক বাঙালি বিজ্ঞানী।

ওই বিজ্ঞানীর নাম অনিমেষ ধর। তার দাবি, তার আবিষ্কৃত ওষুধ ইতোমধ্যে সাদা ইঁদুর ও মানুষের কোষে প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে সফলও হয়েছেন তিনি। হলুদের অন্যতম উপাদান কুরকুমিন, এক ধরনের ফুলের উপাদান হারমিন এবং এক ধরনের ওষুধি গাছের উপাদান আইসোভ্যানিলিনের সংমিশ্রণে তিনি এ ওষুধ তৈরি করেছেন। ১৫ বছর ধরে গবেষণা করে তিনি এ ওষুধ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন।

অনিমেষ ধর বর্তমানে আমেরিকার ক্যানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ক্যানসার বায়োলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর। অন্য দুই বাঙালি বিজ্ঞানী চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও শান্তনু পাল এবং অন্য তিন ভারতীয় বিজ্ঞানী প্রসাদ দণ্ডবতে, শ্রীকান্ত অনন্ত ও ধর্মলিঙ্গম সুব্রহ্মণ্যম গবেষণায় তার সঙ্গী। ওই গবেষণায় সাহায্য করেছেন শ্রীলঙ্কার সুমেধা গুণবর্ধনে এবং আমেরিকার ক্যামেরুন ওয়েস্টও।

আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘অঙ্কোটার্গেট’-এ তাদের গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। অনিমেষ জানান, অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার সহজে চিহ্নিত করা যায় না। সাধারণ হাল্কা মানের জন্ডিস এই ক্যানসারের প্রধান উপসর্গ। কিন্তু হাল্কা জন্ডিস হলে কেউই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের পরীক্ষা করান না। ফলে তা ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে, অনেকটাই ছড়িয়ে যায় ক্যানসার। ছড়ায় মূলত ফুসফুস আর যকৃতে।

“এখন অনেক ক্ষেত্রে অন্য রোগ নির্ণয়ের সময় অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাকে আটকে রাখার কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ ছিল না,’’ বলেন অনিমে।

তিনি জানান, তারা ১৫ বছর ধরে মার্কিন মুলুকে গবেষণা চালাচ্ছেন। তার ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে সাদা ইঁদুর, মানুষের কোষের উপরেও। দেখা গেছে, হলুদের অন্যতম উপাদান কুরকুমিন, এক ধরনের ফুলের উপাদান হারমিন এবং এক ধরনের ওষধি গাছের উপাদান আইসোভ্যানিলিনের সংমিশ্রণে তৈরি ওষুধটি অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার দমন করতে পারছে।

অনিমেষ বলেন, “ক্যানসার হলে এক ধরনের ‘ক্লাস্টার অব জিন’ বা জিন-মণ্ডলী খুব সক্রিয় হয়ে ওঠে। তার প্ররোচনায় ক্যানসার-আক্রান্ত কোষ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। দীর্ঘদিনের পরীক্ষায় দেখা গেছে, আমাদের ওষুধ ক্যানসার-আক্রান্ত কোষের বৃদ্ধি আটকাতে সমর্থ। তা যকৃৎ বা ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ছে না। কষ্টও কমছে। ”

ওই বিজ্ঞানীর দাবি, আমেরিকায় খাদ্যের মধ্যে পুষ্টি হিসেবে তার ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। তার ফর্মুলা নিয়ে ভারতীয় সংস্থাও এই ওষুধ বানাতে পারবে। তার কথায়,“আমরা অনেক নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি, আমাদের প্রাচীন ইউনানি চিকিৎসায় কুরকুমিন, হারমিন এবং আইসোভ্যানিলিনের মতো উপাদান ব্যবহারের উল্লেখ রয়েছে। ”

ক্যানসার বিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধরা পড়তে দেরি হয় বলে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়। অনিমেষবাবুর আবিষ্কৃত ওষুধ অন্য প্রাণীর সঙ্গে মানুষের শরীরেও প্রয়োগ করে দেখতে হবে। তা যদি সফল হয়, এই আবিষ্কারকে স্বাগত জানানো উচিত। এর উপাদানগুলিও কম খরচে পাওয়া যায়। ভারতের মতো দেশে সুবিধাই হবে রোগীদের। ”

সংগৃহীত

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! 
Saroop Chattopadhyay.

Monday, July 1, 2019

তাবড় নেতা ~ Big Leader (Political)

আমি নেতা , পদে আছি 
আমার নামের পাশে বহু উপাধি
জননেতা , সমাজ সেবী ,কল্যাণ কামী
কে ,তোমাকে পতাকা ধরে স্লোগান তুলে
মিছিলের পায়ে পা মেলাতে বলেছে,
তুমি বড্ড বিশৃঙ্খলা করছো
আমার কথায় আইন চলে তুমি কে?
রাজনীতি তোমার কাজ না 
তুমি তো কর্মী ।

জানো আমার এক ইশারায়
মুন্ডু আসে হাতের সীমানায়
তুমি কি জানো আইনের পুলিশ
প্যাচে ফেলে তোমায় করবে ভ্যানিশ ,
নীরব কেন ?জবাব দাও
জিভ টেনে কুকুরের ভক্ষণ হবে না হলে
যেমন পায়ের জুতো পায়েই থাকো
সাবধান , আমি ই শেষ কথা ।

কাতর হয়ে মৃদু কন্ঠ
আমার অপরাধ কী ?
এ কেমন প্রাণ কাড়া হাড়হিম ধমক ,
প্রশ্ন করছো !
সাহস বেড়ে গেছে 
অমুকের বাচ্চা.. আমার উপরে কথা
আজকেই তোর লাইফ হেল করে দেব,
জানোয়ার কোথাকার ।

আমি যে নিঃস্ব আমি যে অসহায়
আদর্শ নিয়ে রাজনীতির ধ্বজা বাহী
আমি তো আপনার নির্দেশ বাহী
অপকর্ম কিংবা অপরাধ 
আমি ভয় পাই , আমি যে খুবই ক্ষুদ্র
আমার ভুল হলে সমঝে দেবেন
দয়া করে , হে প্রভু আমার
আপনি তো সবার উর্দ্ধে
আপনি নেতা , তাবড় নেতা
তাই সৃষ্টি কর্তার চেয়ে ও শক্তিশালী ।।




Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...