Friday, June 28, 2019

সরকারটাই তো বখাটে! হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বাঙালি। বাংলার মা মাটি মানুষ কিন্তু বখাটেদের চায় না।

মূল লেখাটি আমার নয়, WhatsApp থেকে পাওয়া এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিক।

সেদিন  'মুকুলের কাঁচরাপাড়া'য় মুখ্যমন্ত্রী  মমতা  বলেছেন - পাড়ার বখাটেদের দলে নিয়ে আসুন । 

বাপে খেদানো মায়ে খেদানো পাড়ার রকে  বসা ছেলে আমার দরকার । ওরাই ভাল করে দল করুক । আমি ওদের দেখে দেব ।  

এই কারণেই ইদানীং মমতা কে আমার ভীষণ ভালো লাগে । বা বলতে পারেন - আমার ভীষণ ভালো লাগতে শুরু করেছে ।

যা ভেতরে আছে উগড়ে দিচ্ছেন । স্পনটেনাস ( মমতার উচ্চারণ, আমার নয় ) । গড়মেণ্ট  ( মমতার উচ্চারণ, আমার নয় ) চালাতে গেলে এরকমই দরকার । 

এই খোলা মনে কথা বলাটারই বড় দরকার ছিল। মুকুল ঝরে গিয়ে এই লাভটাই হয়েছে । বাঙালি original মমতাকে পাচ্ছে। আগে হুগলীর ফুরফুরা শরিফে মুকুলকে পাঠিয়ে  'কম্ম' সারতেন । এখন গোয়ালে দুধ দেওয়া গরুর লাথি খাওয়ার জন্য নিজেই ছুটছেন  । প্রেস ডেকে হাঁকছেন - যাব ১০০ বার যাব । যে  গরু দুধ দেয় ............। আরও কত কি !!!   


এই origanility র স্বাদই আলাদা । আগে আমাদের পাড়ার বাজারের রাজু - পাড়ার  পাঁচুদার বাগানের আমকে 'মালদহের  ফজলী' বলে চালাতেন ।  খেতাম । মন ভরত না । একদিন সবার সামনে বলেই ফেলল রাজু - নিয়ে যান, এটা কিন্তু  original ফজলী । অর্থাৎ ? মৃদু হেসে আর কথা বাড়ায়নি  রাজু । নিলাম । প্রাণ ভরে খেলাম । প্রাণ জুড়িয়ে গেল ।  original ফজলীর স্বাদই আলাদা  । বুঝলাম । ঠিক যে ভাবে বুঝছে এখন বাঙালি । original  মমতার 'মুকুলহীন  original চেহারা' । প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে ।     

এই যে স্পনটেনাস  ( মমতার উচ্চারণ, আমার নয় ), এটাই  original  মমতা। original ফজলির মত এর টেস্ট। যে না খেয়েছে সে বুঝবেই না।  বাঙালি খেয়ে চলেছে তাই বাঙালি বুঝেছে। সারা ভারত এবার চিনছে । স্বাদ পাচ্ছে । 'পি এম' না হয়েও সারা ভারতকে নিজের জাত চেনাচ্ছেন মমতা ।  ডাক্তারদের সঙ্গে  অহেতুক পাঞ্জা কষতে গিয়েও তাই করলেন।

মধ্যিখান থেকে প্রবাসী বাঙালিরা টিটকিরি খাচ্ছে মমতার রাজ্যের বাঙালি বলে । ক্ষতিটা এখানেই । permanent ক্ষতি । irrepairable loss । যার dividend দিতে হবে বাঙালিকে বহু বছর ধরে । সম্প্রতি রাজস্থানে বেড়াতে যাওয়া দম্পতিকে সেখানকার taxi driver নামিয়ে দেওয়ার পর  বলেছেন - আপকো দিদিকো বোল দে না  - জয় শ্রীরাম ।     
  

খুব দরকার ছিল - ভাষার তাসটা খেলার ? মুকুলের কাঁচরাপাড়ায় গিয়ে দুম করে বলে বসলেন - বংলায় থাকতে গেলে শিখতে হবে বাংলা । এতদিন বলেননি কেন ? ৮ বছর  অর্থাৎ ২৯২০ দিন নবান্নে কাটানোর পর বাংলা প্রেম ? ভাটপাড়ায় অর্জুন, নোয়াপাড়ায়  সুনীল, আসানসোলে  জিতেন্দ্র তিওয়ারি কোন ভাষার রাজত্ব কায়েম করেছিল এতদিন ? বাংলার ? অর্জুন রথ  বদল না করলে, আসানসোলে মুনমুন ২ লাখ ভোটে হেরে "দুখ" (দুঃখ নয়, পড়তে হবে দুখ) না পেলে 'বাংলা প্রেম' দেখতাম  আপনার ?  
   

সারা কলকাতায় তথ্য সংস্কৃতি দফতরের 'আ মরি বাংলা ভাষা' দিয়ে নিজের ছবি সহ দেড় হাজার  hoarding ?  ব্যারাকপুর আর আসানসোলের হারের দুঃখ ভোলার তাগিদে ? সব অবাঙালি বি জে পি ?  তাহলে হিন্দী অধ্যুষিত হাওড়ায় জিতলেন কি করে ?   হিন্দি অধ্যুষিত উত্তর কলকাতায়  সুদীপ লাখ ভোটে  জিতলেন কি করে ?  ১৮ টার মধ্যে বাঙালি অধ্যুষিত ১৫টায়  পদ্ম ফুটল কি করে ?  কথায় আছে রাগ বাড়লে বুদ্ধি কমে । ব্রেন non functional হয় ।   আপনার দশাও তাই । লগ্নে ভ্রম । রাশি ?  জানিনা । 

পরিবহকে দেখতে গভর্নর যেতে পারেন। আপনি পারেন না । গেলেন অত দিন পর। আপনার কালীঘাটের আস্তানা থেকে এন আর এস হাসপাতাল মাত্র সারে পাঁচ কিলোমিটার।

নির্বাচনের আগে পানিহাটীতে প্রচারে বলেছিলেন  প্রতিদিন আপনি ২০ কিলোমিটার হাঁটেন ।  একবার  হাঁটুন না । আপনার পায়ের সঙ্গে নাকি মাথাও হাঁটে । কদিন আগে বলেছিলেন । মিডিয়াকে অন্ধকারে রেখে পায়ে হেঁটে চুপ চাপ আগেই যেতে পারতেন  ঐ তরুণ ডাক্তারদের কাছে ।   

আবার কাটমানি, তাহলে স্বীকার তো করলেন যে এতদিন কাট মানি নেওয়া হত।
কিন্তু ভাগ টাও তো হয় তো যেত। 
ইদানিং কি ভাগ ঠিকমত পৌঁছোচ্ছিল না?🤔

এবার সোজাসুজি নবান্নে..., যাকে cell এ বসালেন সেই তো দুর্গাপুর/আসানসোল থেকে বাকুড়া/বিষ্ণুপুর ও ঝাড়গ্রাম/মেদিনীপুর অবধি আপনাকে জিতিয়ে ছিলেন, তাই তো????😉😏

আর আসানসোল এ হোটেল এ রাতে কি হত, কে জানে... বেশি বলা 🤐

আর সবচেয়ে বড় ব্যর্থ হল তৃণমূলের ডিজিটাল টিম, এমনকি প্রেস ও তা মুখ্যমন্ত্রী কে বলেছেন আর প্রশ্ন করেছেন, অথচ বখাটে ডিজিটাল সেল দলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আর ব্যক্তিগত রাগ মেটানোর জন্য অন্য কে আক্রমণ করা নিয়েই পরে রয়েছে।




বখাটে বা টিপিকাল আতেল ডিজিটাল টিম কাঠিবাজি আর পেরেক মেরে দলের সত্যিকারের হিতাকাঙ্খীদের বেরিয়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে।

WhatsApp এ কয়েকটা jokes পেলাম:

১)
ভবিষ্যৎ এ  অঙ্কের মডেল প্রশ্ন পত্র বাংলার স্কুলের.....

প্রশ্ন:- রহিম ভাই, ব্যাবসায়ী রামরতন বাবুর থেকে মেশিন দেখিয়ে  ₹25000/- তোলা তুলেছে... এই টাকা যদি, রহিম ভাই নিজে 1% রেখে, অঞ্চল সভাপতি 2%, পৌর প্রতিনিধি 5%, বিধায়ক 7%, সাংসদ 10%,  ভাইপো দা ট্যাক্স 75%  হারে বখরা হয়, তবে কে কত কাটমাণি পাবে?
🤔🤔🤔🤔🤔🤣🤣🤣😋😋😆

২) 
পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এই প্রথম যেখানে একটি রাজনৈতিক দল মানি ব্যাক পলিসি বার করলো !!
🤭🤭

---
নোট:
এটি একটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কথোপকন।
বাস্তবের সঙ্গে কেউ যদি মিল খুঁজে পায় তার দায় লেখকের/ব্লগের নয়।
-----

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Tuesday, June 25, 2019

তৃণমূল কংগ্রেসের পতনের কারণ ও আন্ত্মসমালোচনা, একটি কাল্পনিক প্রতিবেদন। Reasons for downfall of Trinamool Congress and Self Criticism by few veteran TMC men ~ A fictional article.

রাজনীতি বোঝেন?? এই দলের ক্লোজ গ্রুপে বহুদিন আগে যখন ২১ দলের ব্রিগ্রেডের সমালোচনা করেছিলাম তখন , কেউ একজন আমাকে সবজান্তা গামছাওলা বলেছিল। ফল তো দেখেছেন হাতে হাতে। সবকজন পুরোপুরি ডুবে গেছে । আর দিদির প্রকল্প?? কন‍্যাশ্রী , সবুজসাথী, খাদ‍্যসাথী ছাড়া সব বেকার। 

আর শুধু প্রকল্প দিয়ে ভোটে জেতা যায় না । 
সরকারী কর্মচারীদের ভোট একটাও পাবেন না। কারণটা সবাই জানেন।

শিক্ষিত বেকারদের ভোট পাবেন না । যে গ্রামে ৩০% মুসলমান, সেই গ্রামের বাকি ৭০% হিন্দুর ভোট পাবেন না ।
আর ঐ ৩০% ভোট ও নিশ্চিত নয়। রেড রোডে হিন্দি/উর্দু তে ভাষণ দিয়ে বাঙ্গালী মুসলিমদের থেকে ১০০% ভোট আশা করা কি যায়??

সব/বেশিরভাগ বাঙ্গালী মুসলমান তৃণমূলকে ভোট দিলে কি দুই মালদা, রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, বহরমপুর ইত্যাদি জায়গায় তৃণমূল হারত??

ভোটটা আসবে কোথা থেকে ??
আর দলের পা থেকে মাথা পর্যন্ত নৈতিক - আর্থিক - সামাজিক দূর্নীতি।
প্রতিটি জেলা , ব্লক , বুথে পর্যন্ত গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব।

সাইকেল চড়া কাউন্সিলার এর এখন স্কর্পীও বা ফর্টুনার।

SSC - প্রাইমারী সহ সব চাকরী বিক্রি হয়েছে চড়া দামে, এমনকি দলের কর্মীদেরও দেওয়া হয়নি চাকরীগুলো। 

কিভাবে জিতবেন একটু বলবেন ??

দলের মাস্টারমাইন্ড কে ?? পার্থ - ববি - অরূপ - সুব্রত বক্সি ???

দলের রাজ্য সভাপতি যিনি শান্তনু ঠাকুর কে ড্রপ বক্স এ আবেদন দিয়ে দলের আসতে বলেছিলেন সেই শান্তনু ঠাকুর নিজে তো জিতলেন এবং মতুয়া ভোট আরো চারটি আসনে নির্নায়ক হলো।

নূন্যতম রাজনৈতিক বুদ্ধি থাকলে মুকুল রায় থেকে অর্জুন সিং অবধি লোকেদের উনি যেতে দিতেন না।

আর এক পুরনো নেতা যিনি একসময় শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন, বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী কিন্তু দলে গুরুত্তহীন হবার ফলে তিনি এতটাই হতাশায় ভুগছেন (frustrated), তার দপ্তর সংক্রান্ত একটি শ্রমিক সংগঠনের (বাংলার পার্বত্য অঞ্চলের) সভাপতি কে প্রকাশ্যে "তুমি তো মহাপুরুষ" বলে সকলের সামনে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করেন কারণ যখন মন্ত্রী মশাই দলের বিষয়ে তার অসহায়তার কথা বলেন, তখন দলের বিষয় ছেড়ে সেই সভাপতি মশাই শ্রমিকের বঞ্চনা নিয়ে বলতে গেছিলেন ।

এবারে পাহাড়ে এই দপ্তর বন্ধ হলে বা আন্দোলন শুরু হলে তিনি দিদিমণির কাছে জবাব দিতে পারবেন তো?

এদিকে মমতা ব্যানার্জির ছবি একাডেমী তে দেখলে যার গা ঘিনঘিন করে তিনি নিজে তো হারলেন ই, উল্টে তার দৌলতে রাজ্যে প্রথম জেলা পরিষদ ও বিজেপি দখল করল।
ভালই হয়েছে, তাও যদি চোখ খোলে।

আর দলের কোর কমিটি, এদের ওপর এখন সয়ং মমতা ব্যানার্জি ভরসা করেননা, করলে প্রশান্ত কুমার কে আনতে হত না।

আর সোশাল মিডিয়া সেল...😂😂
যত কম বলা যায় তত ভালো।।

একজনকে তো দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীুরের দায়িত্ত্ব দিয়েছিল...
সব কটায় মুখ থুবড়ে পড়ল। তাও তাকেই কিনা অভিযোগ বিচার এর দায়িত্ব 🤔
ব্যর্থতার পুরষ্কার শুধু তৃণমূলেই সম্ভব, কারণ এই সব তাবেদার আর কিছু গুন সম্পন্ন (যা ভদ্র ভাষায় বলা যায় না, যেটা রোজ রাতে আসানসোলের হোটেলে হত বলে শুনেছি) লোকেরাই এখন সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে অবশ্যই সঙ্গে কিছু বখাটে চ্যংরা কে নিয়ে।

তার সঙ্গে এক ভদ্রলোক এসেছিলেন, তিনি তো কাজই করতে পারলেননা বা ওনাকে কাজ করতে দেওয়া হলনা, উনি ভদ্রলোক ছিলেন তাই টিকে থাকতে পারলেন না, বখাটে, তাবেদার বা আখের গোছানোর লোক হলে দিব্যি থাকতে পারতেন।

শুনেছি বাকিরা তো অফিসেই মদ্যপান করতে ব্যস্ত। আর এমন স্লোগান বের করে যা সাধারণ মানুষ খায় না।
৪২ শে ৪২.… কোনো স্লোগান হলো..
কেউ বিশ্বাস করবে?

আর "দিল্লী যাবে হওয়াই চটি' বলা বখাটে আঁতেল টি তো ব্যর্থতার পুরস্কার পেয়ে এখন সাপের পাঁচ পা দেখছে।

যারা কোনোদিন মাঠে নেমে রাজনীতি করেননা, কোনো আন্দোলন করেনি সেই সব চ্যাংরারা আবার দলের মুখ।


যারা পুরনো রাজনৈতিক কর্মী তারা হাসবেন না কাঁদবেন বুঝেই পারছেন না। 

এর সঙ্গে যুবরাজের যুবরাজকীয়
 মনোভাবের জন‍্য (চামচাদের পার করে তার সঙ্গে অন্য কর্মী এমনকি নেতারাও দেখা করতে পারেন না), এর ওপর তার সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের বিরোধ। দিদির পরিবারের দিকেই দূর্নীতির অভিযোগ।।

এছাড়া ২১শে জুলাই থেকে নন্দীগ্রাম নেতাই - কোনো ক্ষেত্রেই বিচার না পাওয়ায় , উল্টে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বুদ্ধ ভজনায় দিদির ও দলের বিশ্বাসযোগ্যতাতেও ফাটল ধরেছে। সিঙ্গুরের জনগন ও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

প্রশ্ন জাগে বাংলার আসল "মা মাটি মানুষ" এখন তৃণমূলের সঙ্গে আছে তো?


আর অবাঙালীদের তাড়াও, আরে বাবা বাংলার বাইরে কত বাঙালী আছে সেই হিসেব টা জানেন কি **পক্ষ??
সেই সব বাঙালীদের কি আফরাজুল এর মত মারতে চান আপনারা??

এই দল নিয়ে আপনি মুকুল রায় - অমিত শা, বিজয় মালব্য - নরেন্দ্র মোদিকে টক্কর দেবেন ??

ভাবেন কি করে ?? দলের আসল লোকগুলো হয় বসে গেছে নয়তো বিরোধী দলে। এখন শুধু দেখুন ফাইনালে কত গোলে দল হারে । যেভাবে চলছে তাতে  বিধানসভায় ১১৫ পেরোলে খুব অবাক হবো ।।

দলের মধ্যে ক্লোজ গ্রুপেও তেল না মেরে আন্তসমালোচনা করলে ওই জিন্দাবাদ করা বখাটে চ্যংড়া রা তাকে বিজেপি তকমা দিয়ে দেবে।

আন্তসমালোচনার কোনো জায়গা তৃণমূলে নেই।।
ওদিকে বিজেপি থ্রেট করবে এদিকে দলের এক অংশ।
তাই 🙏🤐🙏


(মূল লেখাটি কোনো এক দলঅন্ত লড়াই করা পুরনো তৃণমূলকর্মী শিক্ষকের ও কিছু বহু পুরনো নেতা, কর্মীদের দ্বারা লেখা, সেটিতে কিছু পরিমার্জন করা হয়েছে)


নোট:
এটি একটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কথোপকন।
বাস্তবের সঙ্গে কেউ যদি মিল খুঁজে পায় তার দায় লেখকের/ব্লগের নয়।

বর্তমান (২০২০-জুন/জুলাই) পরিস্থিতিতে এই বিষয়ে আমার সাম্প্রতিক লেখা:
তৃণমলের মা মাটি মানুষ এর বর্তমান অবস্থা, আর আমার মত একজন তৃণমূলের প্রথম দিনের সৈনিকের আজকে তৃণমূলের সমালোচনা এবং করোনা মোকাবিলায় মমতা ব্যানার্জির ব্যর্থতার ও বর্তমান অসহায় দশার কারণ বিশ্লেষণ।
https://mamatimanushofwb.blogspot.com/2020/06/blog-post_13.html?m=1

Wednesday, June 12, 2019

তৃণমূলের প্রকৃত কর্মী ও নব্য নেতা ~~একটি কাল্পনিক কথোপকন। (Original Workers of TMC/AITC & New comers/Sudden Leaders of Trinamool Congress~ A fictional article).

***তুমি কে ?

~কর্মী!

***তোমার কাজ কি ?

~ভোটার স্লিপ দেওয়া , ভোটারের বাড়িবাড়ি যাওয়া , দেওয়াল লেখা ,পোস্টার লাগানো , দলের মিছিল,মিটিংএ ভিড় করা , বিরোধী দলের মার গুঁতো খাওয়া,হাতভাঙানো,অপমান খাওয়া,ভোটের সময় এ প্রান্তর থেকে ও প্রান্তে দৌড়ানো!তার ব্রজাঘাত আর লু বয়ে চলুক!

***দিনান্তে কি পাও ?

~কিছু মানুষের গালিগালাজ!

***যারা গালিগালাজ করে তারা কি বিরোধী দলের লোক?

~শুধু বিরোধী দলের লোক বা সাধারণ মানুষ ই নয় -- দলের নব্য রা, সুবিধাবাদীরা, সুখের দিনে আসা পাখিরা ও গালিগালাজ করে।

****তাও করো কেন এসব ?

~দিদি ও দলকে ভালোবেসে!



***খালি পেটে ভালোবাসা যায় ?

~নাগো!বার্নপুরে ইস্কোতে একটা ভালো কাজ করছিলাম,কিন্তু গত বিধানসভার ভোটে সেটা ছেড়ে চলে আসি!আসার পর একটা কাজ দিয়েছিল তাও সেটা যেতে বসেছে!

*****এত বঞ্চনা সহ্য করো, রাগ হয়না ?

~প্রথম,প্রথম হতো , এখন এসব অভ্যেস হয়ে গেছে!

***তোমার কি কোনো কদর নেই ?

~আছে তো , ঐ যে যখন ভোট আসে ! তখন নেতারা খুব খাতির,যত্ন করে।

***তুমি তাতেই ভুলে যাও ?

~কি করবো বলো আমি যে কর্মী!

***সব ছলনা বোঝো , তাও কাজ করার উৎসাহ পাও কোথা থেকে ?

~ ঐ সাদা শাড়ি পরা যাকে আমরা দিদি বলি গো!!
দেখোনা বাবুরা সেজে,গুজে স্টুডিওতে বসে কত্ত গাল,মন্দ করে ! ফেসবুক,টুইটারে কেউ বেগম বলে কেউ ডাইনি ! তা স্বত্তেও কেমন মুখ বুজে কাজ করে যায় তোমার আমার কথা ভেবে ! 
উনিও আমাদের মতো কর্মী তো ll ওঁকে দেখেই উৎসাহ পাই গো !

***সারাজীবন কর্মী হয়েই থেকে যাবে , নেতা হতে ইচ্ছে করেনা ?

~না গো করেনা , দিদি বলেছেন ওনার কাছে কর্মীরাই সব !যে যাই করুক আমি জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু পর্যন্ত  দিদির পাশে ও দলের পাশে থাকতে চাই!

   ********************

এই হলো প্রকৃত কর্মী, যাদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস টিকে আছে।

এদিকে কিছু নব্য (ব্যাচ, স্কর্পিও/ফর চুনার, সোনার চেন) নেতাদের মানসিকতা এই Jokes (collected from WhatsApp) থেকেই বোঝা যায়।
_____
দাদাঃ পুরানো কর্মীদের অবিলম্বে সামনের সারিতে নিয়ে এসো 

ভাইঃ কিন্তু দাদা সামনের সারিতে তো বালি মাফিয়া, জমি মাফিয়া, কয়লা মাফিয়ারা বসে আছে। ওদের কি করব? 

দাদাঃ ওদের স্টেজে তুলে দাও
_____

নোট:
এটি একটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক কথোপকন।
বাস্তবের সঙ্গে কেউ যদি মিল খুঁজে পায় তার দায় লেখকের/ব্লগের নয়।


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. 

Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...