কিছু মানুষকে বোঝানো হচ্ছে কেন্দ্র সরকার নাকি ইচ্ছে করেই সরষের তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে, কিন্তু আসল কারণটা কি?
জানুন..
কেন এতো দিন পরে সরষের তেলের দাম বেড়ে গেল? এই সরষের তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই কেন্দ্রীয় সরকার তথা নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তোলা শুরু করেছেন।
#আসুন_জেনে_নেই_প্রকৃত_সত্য।
কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত সরষের তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে নোটিশ করে দিয়েছে যে, আর কোনো ভাবেই সরষের তেলের সাথে Blended Oil মেশানো যাবে না। এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে; কি এই blended oil ?
Blended oil হল Pamolin Oil , যাকে আমরা সবসময় বলি 'পাম অয়েল' । দেখবেন আপনার ব্যবহৃত সরষের তেলের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে mustard oil with blended oil.... । তার অর্থ আপনার ব্যবহৃত সরষের তেলের সাথে মেশানো হয়েছে পামোলিন তেল বা পাম তেল, যে তেলের জন্মই হয়েছিল Machine Oil হিসেবে। বৃটিশ সরকারের আমলে সারা বিশ্বের কলকারখানার যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত তেল ধীরে ধীরে ভারতের মানুষকে খাওয়াতে শুরু করে তেল উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি। শুধুমাত্র তেলে মিশিয়েই ক্ষান্ত হয় নি কোম্পানিগুলি। আমরা যে কেক, প্যাস্ট্রি, আইসক্রিম , দুধ, মাখন, ফ্রুট জ্যুস, চকোলেট, বিস্কুট খাই ...... এরকম হাজার ধরনের খাদ্যের সাথে মেশানো হয় এই Pamolin oil, যার ফলে এই পাম অয়েল মানুষের শরীরে প্রবেশ করে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধির জন্ম দিচ্ছেদিচ্ছে , যার মধ্যে অন্যতম ক্যান্সার রোগ।
একটু আগে ফিরে যাই, ........
তা দেখা গেছে সরষের তেলের সাথে পাম অয়েল মিশিয়ে প্যাকেটজাত করে বিক্রি করা হচ্ছিল। জানলে অবাক হয়ে যাবেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু কোম্পানি মাত্র ২০% সরষের তেলের সাথে বাকি ৮০% ই ব্লেন্ডেড অয়েল অর্থাৎ পাম তেল মিশিয়ে বিক্রি করে আসছিল এ যাবৎ। তবেই না সস্তায় আমরা খাচ্ছিলাম। কিন্তু কখনো আমরা কিছু তলিয়ে দেখি নি বা ভেবে দেখিনি।
যেখানে এক কেজি ভালো সরষের দাম ৫০ টাকা এবং এক লিটার সরষের তেল তৈরি করতে লাগে প্রায় ৩ কেজি সরষে, যার অর্থ হল এক লিটার সরষের তেল প্রস্তুত করতে লাগবে ১৫০ টাকার সরষে , তাহলে অন্যান্য খরচ সামলে কি করে সেই তেল আমাদের কাছে ১০০ টাকা লিটার বেচছিল তেল উৎপাদক কোম্পানিগুলো!!!!!
#তাহলে_বুঝুন_আপনি_কি_খাচ্ছিলেন!?
১৯৯০ সাল নাগাদ তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে blended oil মেশানোর ছাড়পত্র দেয়।তখন হয়ত সেই সরকার কোন কিছুর বিনিময়ে খাবারে ভেজাল মেশানোকে বৈধতা দিয়েছিল বা blended oil মেশানোর ফলে তার সুদূর প্রসারী রোগের উৎপত্তি নিয়ে বুঝতে পারে নি।
সেই থেকে ভারতবর্ষে বিষাক্ত পাম অয়েল বাজার ছেয়ে যায় এবং সেই থেকে পাম অয়েলের রমরমা চলে আসছে।
এই কারণেই হয়তো WHO ( World Health Organization) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনেক আগেই ঘোষণা করেছিল যে ; ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতবর্ষে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাবে।
আসলে আমরা সবাই একটু সস্তার আশায় কোন কিছু না ভেবেই এইসব কিনে খাওয়া শুরু করি। তো এই পাম অয়েল খাওয়ার ফলে ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই আমাদের শরীরে বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধি ঢুকে পড়ে। এবার ডাক্তার দেখানো শুরু থেকে, ওষুধপত্র, বিভিন্ন ধরনের প্যাথলজিক্যাল টেস্টে যে পরিমাণ খরচ শুরু হবে বুঝতে পারছেন। হিসাব করে দেখবেন,তাতে সস্তার খাবার খেয়ে সত্যি সত্যিই কি আপনি সাশ্রয় করতে পারলেন? আর এরপরে যদি ক্যান্সার হয়ে যায় তখন আর হিসাব হাজারে নয় লাখে চলে যাবে।
#সুতরাং_কম_খান_খাঁটি_খান।
আর কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করার আগে, নরেন্দ্র মোদীর দিকে আঙুল তোলার আগে নিজে ভালো করে জেনে নিন। কোনো সংবাদপত্র, মিডিয়া চ্যানেল আপনাকে জানাবে না কারণ তাদের হাউসগুলো চলে বড় বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপনের টাকায়। পরিশেষে বলবো........
#খাঁটি_খান_সুস্থ_থাকুন
🙏🙏🙏🙏🙏
No comments:
Post a Comment