Tuesday, February 18, 2020

২০২০ এর নির্বাচনে দিল্লিতে আপের জয় এর সঙ্গে বাংলায় তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোর এর প্রভাব এবং ২০২১ এর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরিণাম নিয়ে আগাম ও বাংলায় বিজেপি ও তৃণমূলের ত্রুটিগুলির পর্যালোচনা।।

অনেকেই প্রশান্ত কিশোর (PK) কে আপের দিল্লী জয়ের কারিগর বলেছেন আর ভাবছেন বাংলায় ও তাই হবে, কিন্তু প্রশান্ত কিশোর আপের দায়িত্বে খুব কমদিন কাজ করেছেন... অথচ তার আগেই কেজিওয়াল জী ৩৭০ ধারা কে সমর্থন করেছেন, রাজ্যের উন্ময়নের জন্য কেন্দ্রের বৈঠক বর্জন করেননি, কোনোদিন সংখ্যালঘু তোষণ করেননি।

এছাড়া পঃবঙ্গে সারদা/নারদা, কাটমানির পরিপেক্ষিতে জল ট্যাঙ্কির ভাঙ্গন, কথায় কথায় রাজ্যের সর্ব্বোচ্চ পদাধিকারী রাজ্যপালকে বিভিন্ন অছিলায় অপমান, যা কেজরিওয়াল করেনি বাংলায় হচ্ছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোর নাম বদলে নিজেদের মত করা, যা কেজরী করেনি।


আরেকটা
ব্যাপার হল,
আপের সমর্থকদের আর সোশ্যাল মিডিয়া এর লোকেদের বিজেপির ভক্ত ও অধুনা তৃণমূলীদের মত গালাগালি বা ব্যক্তিগত আক্রমণ ও হেয় করার মানসিকতা কোনোদিন ছিলনা বা নেই।

বর্তমানের বাংলা কিন্তু জানে তারা যে তাপসী মালিক/রিজানূর রহমানকে ইস্যু করে ক্ষমতায় বসেছিল তাদের পরিবারও মনেপ্রানে মর্মাহত। এগুলো কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রে হয় নি।

কেজরওয়ালজী এর লেভেল কিন্তু একটা শিক্ষিত মার্জিত, সৎ রাজনৈতিক হিসেবে। অথচ একসময়ের "সততার প্রতীক" লেখাটা বর্তমানে আর দেখা যায়না।

মুখে জয় বাংলা বলে কাজে জয় বিহারী চলছে। পক্ষ আর সম্মেলন গড়েও তৃণমূলীরা তাদের উক্তি অনুযায়ী সেই "গুটখাখোর" দের ই কথায় চলছেন?

PK আসার পরও "ক্যা ক্যা ছি ছি" হয়েছে আবার আড়াই বছর যিনি courtesy ভুলে গেছিলেন তিনি হঠাৎ কাছাকাছি ও হয়েছেন। রাজ্যপাল বিতর্ক চলছে, দেশের সব রাজ্যগুলির জন্য কেন্দ্রের ডাকা বৈঠক ও এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এগুলো দেখে কিন্তু দিদি পুরোপুরি PK এর কথায় চলছেন কিনা সন্দেহ হচ্ছে।

সবচেয়ে বড়কথা দিদি পশ্চিমবাংলায় এসেছিলেন নিজের ক্যারিস্মায়,কিন্তু সমাজের কাছে  বিশ্বাস হারিয়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল করে ফেলেছেন যে ভোটে জিততে নিজের ক্যারিস্মাকে বিসর্জন দিয়ে পন্যসামগ্রীর মত রাজনৈতিক গুরু কিনতেও বাধ্য হয়েছে, তাও বিহারী গুরু।
এর অর্থ দিদির বুদ্ধি বা ওনার দলের বক্সি, পার্থ, অরূপ, ববি, অভিষেক, ডেরেক ইত্যাদির বুদ্ধি আর কাজ করছেনা।

সংখ্যালুদের (মানে দুধ দেওয়া গরুদের, যারা কোনোদিন মালদা বহরমপুর, দিনাজপুরে দুধ দেননি) তোষণ ও তাদের অপরাধ মাফ করে দেয়া, তাদের এলাকায় আইনের শাসন লাগু না করা ইত্যাদি চলছে।

দিদি যদি রাজদন্ড নিয়ে বাংলায় আপনি হিন্দু-মুসলমানকে সমান চোখে দেখেন পরিস্থিতির জটিলতা কমবে নচেৎ সারা বাংলায় একদিন ভীষণ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।

আর একটি কথা কাটমানির জন্য একই রাস্তা সারাবছর ধরে খোড়ার রেওয়াজ বন্ধ করতে হবে।

যদিও এত আগে কোনো নির্বাচন সম্পর্কে ভবিষ্যতবাণী করা দুষ্কর তবু আমার মতে, এইসব সত্বেও বর্তমানের পরিস্থিতি অনুযায়ী (যদি একই পরিস্থিতি থাকে) ২০২১ এ আবার তৃণমূল আসতে চলেছে যদিও তাদের আসন ১৭৫ (+/- ১০%) মত থাকবে বলেই মনে হচ্ছে ।।

কারণ এখানে আসামের "NRC & Detention Camp" এর স্মৃতি ও দিল্লির মত বাংলার বিজেপি দের নেতাদেরও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, কুকথা, হুমকি, অবাঙালিদের প্রাধান্য ইত্যাদি সাধারণ বাঙালিদের মনে খুব বাজে প্রভাব ফেলেছে।।

এখন দেখার আগামী একবছরে তৃণমূল ও বিজেপি নিজেদের কতটা শোধরাতে পারে ও বাংলার মানুষকে কতটা নিজেদের কাছে টানতে পারে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দিল্লিতে যেমন কংগ্রেস ও বামেদের ভোট শেয়ার নগণ্য ছিল বাংলায় কিন্তু তেমনটি হাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections.
Also if you have any remarks please feel free to post.
Thanks, Jai Hind.. Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

No comments:

Post a Comment

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...