Thursday, September 3, 2020

ভারতীয় সেনাবহিনীকে কুর্নিশ জানাই চীনের থেকে নিজেদের জায়গা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম লাদাখের এই স্থানগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পা রাখলো।

Bravo Indian Army 🇮🇳💪👍🙏
দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে চীনের কাপুরুষোচিত হামলায় ২০ জন জওয়ান যখন শহীদ হয়েছিলেন তখন আপামর বিরোধী দল রে রে করে নেমে পড়েছিল ভারত সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে।

কেউ কেউ ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া অবধি টুইট করছিলেন সরকারের বিরুদ্ধে। কমিউনিস্টদের কথা বাদই দিলাম, চৈনিক পিতৃদেবের হয়ে গলা ফাটাতে গিয়ে ভারতকে পৃথিবীর সামনে ছোট দেখানোর সে কি আকুল প্রয়াস। চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইটা ভারতের হচ্ছে না চীনের বিরুদ্ধে একটি দল লড়ছে সেটা বুঝতেই অনেকটা সময় কেটে গেছিল দেশবাসীর। তখন কিন্তু দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর সাথে আমিও বলেছিলাম জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবেনা। 

তারপর হঠাৎ করেই ২৯/৩০ এর আগষ্টের রাতের পর চীন আর ভারতে বসে থাকা বুকের বাঁ দিকে চীন চীন করা লোকজনকে অবাক করে দিয়ে প্যাংগং সো এর দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি হাইট ও পাস দখল করে সেখানে ভারতীয় পতাকা  উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা।

★★★ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলি হল :--

১. ব্ল্যাক টপ হাইট


২. হেলমেট টপ হাইট
৩. ত্রিশুল হাইট
৪. স্প্যাঙ্গুর পাস
৫. র্যাকিং লা পাস।


প্রসঙ্গত ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম লাদাখের এই স্থানগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পা রাখলো। ১৯৬২ সালে এই স্থানগুলিতেই ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল, আর সেই যুদ্ধের পর নেহেরুর বদান্যতায় চীনারা এই অঞ্চল গুলি ভারতের হাত থেকে দখল করে নিয়েছিল।
পুনরায় এই অঞ্চল গুলিতে ভারত নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে।

এত বড় ঘটনা ঘটে যাবার পরেও কোন বিরোধী দলকে কেন্দ্রীয় সরকার বা নিদেনপক্ষে দেশের সেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে কোন বার্তা দিতে দেখেছেন??
সেনা জওয়ানদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে শহীদ হওয়াটা যদি সরকার বা সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা হয় তাহলে এই সাফল্যের কৃতিত্বও কি ওনাদের প্রাপ্য নয়??
ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনাবহিনী কিন্তু কথা রেখেছেন। সেনাদের বলিদান বৃথা যায়নি।

শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত হয়ে বিরোধীতা করতে গিয়ে বিরোধীরা ভুলেই গেছে চীনা আগ্রাসনে বিপদে পড়বে গোটা দেশ। চীন ভারতের ভূখন্ড দখলের জন্য অতর্কিতে হামলা করেছিল। বিজেপির পার্টি অফিস নয়। আজ যখন ভারতীয় সেনা যোগ্য প্রত‍্যুত্তর দিচ্ছে তখনও বিরোধীরা বুঝে উঠতে পারেনি লড়াইটা ভারত বনাম চীন। বিজেপি বনাম চীন নয়। তারা ভারতীয় সেনার সাফল্যে হয়তো গর্বিত নয়। তাই তারা চুপ।

কিন্তু চিনের পিউপীলস লিবারেশন আর্মির ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যন্ড এর মুখপাত্র জ্যাং সুইলি বলেন ইন্ডিয়ান আর্মি আবারও হুনান কোস্ট ও রেকিন মাউন্টেন পাস দখল করেছে। 

এই হুনান কোস্ট ও রেকিন মাউন্টেন পাস ১৯৬২ সালে চীন ভারতের থেকে দখল করে নেয়। অর্থাত দীর্ঘ ৫৮ বছর পর আমরা আবার আমাদের জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছি। এই মুহূর্তে লাদাখে চীনের দাবি করা অংশের ৪ কিমি দখল করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি।
বহুদিন ধরে আমাদের সেনাবাহিনী কে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয় নি, একবার ফ্রি হ্যান্ড দেওয়ার পর দেখছেন তো কি শুরু হয়েছে।

আপনি চুপ করে থাকবেন নাকি ভারতীয় সেনার সাফল্যে উচ্ছসিত হবেন সেটা কিন্তু এবার আপনাকেই ঠিক করতে হবে। আর সাথে এটাও মনে রাখতে হবে ব্যর্থতার সব দায়ভার যখন সরকার ও সেনার কাঁধে চাপানো হয়েছিল তখন সাফল্যের কৃতিত্বও তাদের ই প্রাপ্য।

জয় হিন্দ। বন্দেমাতরম। ভারত মাতা কি জয়। 🇮🇳💪👍🙏🇮🇳


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Jai Hind 🇮🇳!! Saroop Chattopadhyay.

1 comment:

  1. JOY BHARAT MATA DI
    LEGENDARY JOBS LEGENDARY JOBS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS CONGRATULATIONS FOR INDIAN ARMY

    ReplyDelete

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...