Thursday, February 8, 2018

বিজেপী ও সিপিএম বর্তমানে ক্রন্দনরত কারন পাহাড় আবার হাসছে। দীর্ঘ ৭ মাস পর পাহাড়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই।আমরা বিভেদের রাজনীতি চাই না।বনধের খেলা বন্ধ হওয়া উচিত দার্জিলিঙে বললেন আমাদের সবার প্রিয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


An in-depth analysis of Darjeeling & Gorkhaland problem and success story of Smt. Mamata Banerjee by resolving crisis which was created by Chinese Nepali Maoists with the help of some dumb local political leaders & also due to BJP’s lack of political support plus their plan to disturb Bengal.

Written jointly by Mr. Anupblab Ghosh & Mr. Saroop Chattopadhyay for MMM-Blog.
 
যে দার্জিলিং-এ চিত্তরন্ঞ্জন দাসের গন্ধ আছে, রবীন্দ্রনাথের ছন্দ আছে, সুভাষ বোসের অনুভব আছে, ভগিনী নিবেদিতার শেষ পদচিহ্ন আছে, সেই দার্জিলিং বাঙালি কিংবা গোর্খার হতে পারেনা। দার্জিলিং 'বাংলার' হৃৎপিন্ড।
দীর্ঘ ৭ মাস পর পাহাড়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৫ ও ৬ February তিনি রোহিণীতে সুভাষ ঘিসিং মার্গের নামকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আজ তিনি উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের সহযোগিতায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট তথা দার্জিলিং জেলা পুলিশ আয়োজিত হিমল তরাই ডুয়ার্স ক্রীড়া উৎসব ২০১৮-র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে।
আসুন আমরা দার্জিলিং ও গোর্খাল্যান্ড পরিস্তিতির ব্যাপারে বিস্তারিত আলচনা করি।
 
গোর্খাল্যান্ড একটি পুরাতন ভারতবিরোধী চীন ও নেপাল (কমিউনিস্ট-মাওবাদী) যৌথ পরিকল্পনা এবং এটি ভারতের নিরাপত্তার জন্য বিপদ। কারণ এটি সিকিমসহ বৃহত্তর নেপালের দিকে একটি প্রথম পদক্ষেপ।
ভারত সরকার এবং বিশেষভাবে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি জাতীয় স্বার্থ কে অগ্রাধিকার দিতে হবে একটি বা দুটি লোকসভা আসন এর চেয়ে ।
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে বিরোধিতা করা মানে হিন্দী / নেপালি / বাংলা বিরোধিতা করা না। গোর্খাল্যান্ড হচ্ছে একটি পুরানো চীন ও নেপাল (কমিউনিস্ট-মাওবাদী)দের পরিকল্পনা যা মানচিত্রে  - গোরখাপুর হতে দার্জিলিং এবং সিকিম পর্যন্ত বিস্তৃত! 50% নেপালী অভিবাসী এবং 30% তিব্বত।
চীনের দালাল নেপালের ও ভারতীয় নেপালি অঞ্চলের লোকেরা "বৃহত্তর নেপাল  চায়
-এই দাবীর মধ্যে সিকিম এবং তথাকথিত গোর্খাল্যান্ড অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত।
প্রকৃতপক্ষে  শিলিগুড়ি করিডোর কাটিয়ে চীনের ভারতীয় প্রধান ভূখণ্ড থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে তীব্র আকৃষ্ট হওয়াই উদ্দেশ্য। এবং এই গোর্খাল্যান্ড/দার্জিলিং অত্যন্ত সংবেদনশীল শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন এর নেক এলাকায় ডানদিকে অবস্থিত।
চীন এর নেপালি সহযোগীগণ তাদের সম্ভাব্য সব উপায়ে তাদের চীনা paymasters সাহায্য করা হয়। ভারত এই বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতা সঙ্গে চলতে উচিত।
 
 
দার্জিলিং ও গোর্খাল্যান্ড পরিস্তিতি:
১৯৫২ র লোকসভা নির্বাচনে, শুধু নিজে জেতার জন্যে, আলাদা গোর্খালিস্তানের দাবি তুলে কম্যুনিস্ট পার্টির প্রার্থী "রতনলাল ব্রাহ্মণ" যে অশান্তির আগুন পাহাড়ে জ্বালিয়েছিলেন, গত ৬৬ বছর ধরে সেই আগুনেই পাহাড়ের রাণী 'দার্জিলিং' পুড়েছে। 
কখনও কার্শিয়াং, কখনও রোহিণী। কখনও ঘিসিং, কখনও গুড়ুং। পাহাড় এবং পাহাড়িদের, এই  দুর্ভোগ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থেকেছে বিগত ৬৬ বছর ধরে। ফি বছর ভোট, আর ফি বছর একে বা ওকে সমর্থন। ভোট ফুরোলেই আবার গোর্খাল্যান্ডের স্লোগান!! আবার ৭২ ঘণ্টা বা ৯৬ ঘন্টার পাহাড় বনধ্। 
 
এভাবেই ১৯৫২ সাল থেকে কম্যুনিস্টদের দ্বারা সৃষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী ও ধান্দাবাজীর রাজনীতি চলে আসছে। এভাবেই কখনও 'আনন্দ পাঠক', কখনও 'ইন্দরজীৎ খুল্লার', কখনও 'দাওয়া নরবুলা', কখনও 'যশোবন্ত সিং' তো কখনও 'সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া'।
পাহাড়ি মানুষের সন্তানদের জন্যে মাধ্যমিক স্কুল নেই, ডাক্তারের পরামর্শে বড়লোকের স্বাস্থ্য উন্নতির ব্যবস্থা থাকলেও সাধারণ মানুষদের জন্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই, রাস্তাঘাট নেই, দিন গুজরানের সামান্য উপার্জন নেই। পাহাড়চূড়ায় সূর্যোদয় হলেও, ৬৬ বছর ধরে পাহাড়ের মানুষ কিন্তু সকাল দেখেনি।
 
প্রথম ছন্দটা কাটলো ২০১১ সালে। মমতা ব্যানার্জী বললেন  - "আমার পাহাড় কেন দ্বিতীয় সুইজারল্যান্ড হবেনা?" মমতা ব্যানার্জীর সংকল্প কিন্তু পাহাড়ের মতোই অবিচল। স্বাধীনতার ৭০ বছর বাদে প্রথম উত্তরবঙ্গের মানুষের ঘরে উন্নয়ন এবং সরকারকে পৌঁছে দিতে, তৈরি করলেন দ্বিতীয় সচিবালয় - "উত্তরকন্যা"। শুরু হলো পথচলা।
 
শুধু রাজবংশী বা কামতাপুরীই না। লেপচা, তামাং, গোর্খা প্রতিটা জনজাতির ছোট ছোট আশা আকাঙ্ক্ষা কে মর্যাদা দিতে তৈরি করলেন, আলাদা আলাদা উন্নয়ন পর্ষদ। নিজে প্রায় ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেললেন ৭০ বছরের অবহেলিত পাহাড়ে। রাস্তা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, শিল্প সম্মেলন, পর্যটন সম্মেলন, চা বাগানে রেশন, চা শ্রমিকদের চিকিৎসা, ভানু ভক্তর ছবিতে মালা দিয়ে সাহিত্য গবেষণা কেন্দ্র, সরকারী পরিবহন পরিষেবা, বিদ্যুৎ সংযোগ, পাগলের মতো শুরু হলো ঘরে ঘরে উন্নয়ন আর সরকারকে পৌঁছে দেওয়ার যুদ্ধ।
 
প্রমাদ গুনলো ভোটহিসাবি দিল্লীর বাবুরা। ওরা উন্মাদের মতো আচরণ করতে শুরু করলো। ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার ফোর্স এর চোখ বেঁধে নাকের ডগা দিয়ে পাহাড়ে ঢুকতে থাকলো চীনের বিস্ফোরক, নেপালের বন্দুক, বিদেশী হাতিয়ার। আড়কাঠির ভুমিকায় অবতীর্ণ এক প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। লুক আউট নোটিশ জারি হওয়া অপরাধীদের ডেকে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের দফতরে প্রকাশ্য ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করে, সন্ত্রাসের ব্লু প্রিন্ট করে দিলেন। বইয়ের তাকে, লজ্জায় সংবিধান মুখ ঢাকলো, কিন্তু ওরা নির্লজ্জ। আগুন জ্বালিয়ে দিলো মমতা ব্যানার্জীর ভালোবাসার পাহাড়ে। কেউকেউ তো ইস্ত্রী করা চোস্তা পাঞ্জাবি পরে চলে গেল দিল্লী। স্যার দেখুন! রাজ্য সরকার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ। গোর্খা - বাঙালি দাঙ্গা পরিস্থিতি। রাষ্ট্রপতি শাসন বাদে রাস্তা নেই।
 
মমতা ব্যানার্জী একটাও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। কারণ, উনি বিশ্বাস করেন, এটা গুজরাট নয়, এটা বাংলা। বাঙালি যখন লড়াই করে, তখন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। দার্জিলিং 'বাংলার' হৃৎপিন্ড। মমতা'র অবিচল আত্মবিশ্বাস আর সংকল্পের সহযোদ্ধা হয়ে উঠলো পাহাড়ের প্রতিটা মানুষ। মানুষের প্রতিবাদ প্রতিরোধে ব্যর্থ হলো সমস্ত ষড়যন্ত্রের আক্রমণ। পাহাড়ের মানুষ বুঝেছে, ওরা ভোটের পাখি দেখে তীর ছোঁড়ে। মমতা কিন্তু উন্নয়নের চোখকে নিশানা করে এগিয়ে যায়।
আসলে ওদের লড়াই - শুধুই ভোটে জেতার। মমতা ব্যানার্জীর লড়াই - ৬৬ বছর অনুন্নয়নের অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর হৃদয় জেতার।
 
 
মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড়ে দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ:
“উপস্থিত সকলকে আমার ধন্যবাদ। সফল খেলোয়াড়দের প্রতি বছর আমরা পুরস্কার বিতরণ করি। যারা সফল হয়েছেন তাদের সিভিক ভলেন্টিয়ারের পদে নেওয়া হবে।
বাংলার সরকার কখনও দার্জিলিঙের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে না। আমরা সব ধর্ম, জাতি, শ্রেণী ও বর্ণের মানুষকে শ্রদ্ধা করি।
আপনার দার্জিলিং আপনাকেই সামলাতে হবে, সেইজন্যই সকলে মিলে জিটিএ তৈরি হয়েছে। বাংলার সরকার তাদের সব রকম সহযোগিতা করে।
আমাদের শান্তি রক্ষা করতে হবে। আপনারা ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। দার্জিলিঙে পর্যটকরা না এলে আপনাদের অর্থনীতি চলবে কি করে?
বনধের খেলা বন্ধ হওয়া উচিত। আপনাদের যা দাবি আপনারা নিশ্চয়ই তা চাইতে পারেন।
বাম আমলে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে আসতেন না। অথচ আমি ২-৩ মাস পর পরই পাহাড়ে আসি।
আমি ভোট পাওয়ার জন্য আসি না। আমি মানুষের জন্য কাজ করি।
আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য শান্তিতে দার্জিলিং সামলানো উচিত। ছাত্র-যুব, মা, ভাই-বোনেদের জন্য আপনাদের শান্তি বজায় রাখা উচিত।
দার্জিলিং বাংলার অঙ্গ। দার্জিলিং পর্যটনের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত।
সিকিমে পর্যটক গেলে সিকিমের লাভ বেশি, দার্জিলিঙে সমস্যা হলেও সিকিমের লাভ হয়। কিন্তু ওরা টাকা দিয়ে দার্জিলিং এর শান্তি নষ্ট করতে চায়। সিকিমের তুলনায় দার্জিলিঙের সৌন্দর্য কম নয়।
যখনই আমরা পাহাড়ের জন্য উন্নয়ন করি তখনই ওরা এসে আমাদের লোকসান করে দিয়ে যায়। এর ফলে আমরা ১০ বছর পিছিয়ে পরি। আমরা এটা চাই না।
টাকা দিয়ে দার্জিলিং কে কেনা যাবে না। দার্জিলিং কে মন দিয়ে জয় করতে হবে।
আমি বিশ্বাস করি দার্জিলিং-এ ভালো শিল্প হাব, পর্যটন হাব, আইটি হাব হতে পারে। অর্কিড, ফুলের চাষ ভালোভাবে হতে পারে।
আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই। আমরা বিভেদের রাজনীতি চাই না।  
দার্জিলিঙে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ। পর্যটকরা এখানে ফিরে আসছেন। এটা খুব ভালো লক্ষণ। দার্জিলিঙে আরও অগ্রগতি হোক।
আমরা চাই কাঞ্চনজঙ্ঘার হাসি যেন অমলিন থাকে।“  
 
Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.
Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

1 comment:

  1. Very well written.INC, CPM,BJP all are responsible.hill people have understood this and kicked Dilip Ghosh out.

    ReplyDelete

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...