কিন্তু আসল ব্যাপারটা একটু জানুন।
রাবণের নারী তথা সীতার প্রতি শ্রদ্ধা মুগ্ধ করে তাদের। যে নিজের পুত্রবধূসমাকে ধর্ষণ করে সে নাকি সম্মান করে?? আসলে এটা নলকূবেরর অভিশাপ!
এক দিন হিমালয়ের অরণ্যে ঘুরতে ঘুরতে রাবণ এক সুন্দরী মেয়েকে দেখে। মাথায় জটা, তপস্যায় মগ্ন। মহিলা বললেন, তিনি রাজর্ষি কুশধ্বজের মেয়ে। বেদের মধ্য দিয়ে বাঙ্ময়ী মূর্তিতে তাঁর জন্ম, তাই তাঁর নাম বেদবতী। বিষ্ণুকে স্বামী হিসেবে পাওয়ার জন্য তপস্যা করছেন। কামার্ত রাবণ তখন অস্থির, ‘কে বিষ্ণু? ধুর!’ বলেই বেদবতীর চুল টানে। বেদবতী সঙ্গে সঙ্গে চুল কেটে ফেলে নিজের মৃত্যুর জন্য চিতা সাজালেন, ‘পাপিষ্ঠ, তোর বিনাশের জন্য ফের কোনও ধার্মিকের অযোনিজা কন্যা হিসাবে জন্মাব।’
******
চাঁদনি রাতে রাবণ কৈলাস পর্বতে তার রাক্ষস সৈন্যদের নিয়ে বসে আছে, পথ বেয়ে চলেছে অপ্সরা রম্ভা। রাবণ বলল, ‘আহা সুন্দরি, ওই স্তনযুগল আজ কে স্পর্শ করবে? কে পান করবে তোমার অধরামৃত?’ অপ্সরা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে জানাল, সে রাবণের পুত্রবধূসম। রাবণের ভাই কুবের, তারই ছেলে নলকুবের। তিনিই রম্ভার স্বামী। রাবণ অট্টহাসি হেসে উঠল, ‘অপ্সরার আবার স্বামী!’ অতঃপর ধর্ষিতা রম্ভা ছাড়া পেয়ে নলকুবেরের কাছে গিয়ে আছড়ে পড়ে। নলকুবের তখনই অভিশাপ দিলেন, ‘এর পর রাবণ কামার্ত হয়ে যখনই কোনও অনিচ্ছুক মেয়ের উপর বলপ্রয়োগ করতে যাবে, ওর দশ মাথা একশো টুকরো হয়ে যাবে।’
এই ভয়েই রাবণ সীতার বিরুদ্ধে কোনো বলপ্রয়োগ করতে পারেনি, যদিও নানান ছলনা করে তাকে বশ করতে চেয়েছিল।
এগুলো না জেনে বামপন্থী আর মোল্লাপন্থী চিন্তাধারায় বিশ্বাসী হয়ে রাবণকে হিরো মানার আগে আর একবার ভাবুন।
#সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।
Thanks & Jai Hind 🇮🇳!!
Saroop Chattopadhyay.
No comments:
Post a Comment