Friday, September 25, 2020

ক্লাবকে টাকা দান, পুজো কমিটিকে অর্থ, ইমাম ও পুরোহিত ভাতা, মাদ্রাসায় টাকা, সংখ্যালঘুদের প্রকল্প.. এগুলো তো উন্নয়ন নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সরকার কি চায়না রাজ্যবাসী আত্মনির্ভর হোক??

সদ্যই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ঘোষনা করা হয়েছে এ’বছর দূর্গা পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৫০ হাজার টাকা স্বল্প দান দেবে। আর তারপরেই একদল হঠাৎ করেই মাননীয়ার দান ধ্যানের তুলনা হয়না, ধর্ম যার যার উৎসব সবার এর বালখিল্যপনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের উদ্দ্যেশ্যে দু’টো পরিসংখ্যান আর কয়েকটা প্রশ্ন রাখতে চাই।

না, উভয়ক্ষেত্রে সমবন্টন কেন হবেনা জাতীয় সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন করে আপনাদের বিব্রত করবোনা। সম্প্রীতি বড় বালাই। বুকে আগলে রাখুন। প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। দু’টো ঘোষনার সময়কাল নিয়ে (সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের তারিখগুলো দেখে নিন চট করে এই ফাঁকে একবার)।

কোভিড এবং আম্ফান পরিস্থিতিতে ত্রাণ তহবিল গঠনে রাজ্য সরকারের অর্থাভাব এবং কেন্দ্রের বঞ্চনার কারনে রাজ্যের অসহায়তার কথা নিয়মিত সাংবাদিক সম্মেলন করে মাননীয়া জানিয়েছেন। ওনার দলের কর্মীরাও সামাজিক মাধ্যম এবং পথে ঘাটে সেটার বহুল প্রচার করেছেন।

প্রশ্ন হল, তাহলে এরকম পরিস্থিতিতে বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য ৪ হাজার কোটি টাকার তহবিলের অর্থ বরাদ্দ কিভাবে হল? কেন্দ্র টাকা দিয়েছিল?
যদি না দিয়ে থাকে তাহলে অর্থাভাবের কারনে কোভিড এবং আম্ফান পরিস্থিতিতে ত্রাণ তহবিল গঠনে রাজ্য সরকারের অসহায়তার কথা কতটা সত্যি আর কতটা সদিচ্ছার অভাব?

মহামারীর সময়ে জনগণের প্রদেয় করের অর্থ সামগ্রিক রাজ্যবাসীর উন্নয়ন এবং প্রয়োজনের খাতিরে ব্যবহার না করে নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

মাঝেরহাট ব্রীজ/টালা ব্রীজ এর কাজ শম্বুক গতিতে চলছে। জেলার অনেকগুলি রাস্তার হালই বেহাল। টানা লকডাউনের ফলে অর্থনীতির অবস্থাও তথৈবচ। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি।।


পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে টাকা ছিলনা, তাদের পুনর্বাসন ও হল না।
করোনার মোকাবিলায় উপযুক্ত স্বাস্থ পরিসেবা দেওয়ার জন্য অর্থাভাব।
সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের কিট দেওয়ার অর্থ নেই।।

রাজকোষে কি অর্থ উদ্বৃত্ত? যদি না হয় তাহলে পুজো কমিটিগুলোকে স্বল্প দান দেওয়ার নামে জনগণের প্রদেয় করের অর্থ এভাবে ব্যয় করার যুক্তি কি? যে উন্নয়নমূলক কাজগুলোর প্রায়রিটি বেশী সেগুলোতে অর্থ বরাদ্দ করাটা বেশি প্রয়োজনীয় ছিল না কি? আবার সেই একই প্রশ্ন, এরকম কঠিন সময়ে, যখন বেকারত্বের চাপে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির চাপে সাধারন মানুষ নাজেহাল তখন জনগণের প্রদেয় করের অর্থ সামগ্রিক রাজ্যবাসীর উন্নয়ন এবং প্রয়োজনের খাতিরে ব্যবহার না করে নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করা কতটা যুক্তিযুক্ত?

রাজনৈতিক কচকচানি সরিয়ে রেখে একজন রাজ্যবাসী হিসেবে চিন্তা করুন। সস্তার জনমোহিনী ঘোষনা শুনে উদ্বেল হয়ে ওঠার আগে একবার ভেবে দেখুন, সামগ্রিক জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন পূরণ করাটাই কি সরকারের প্রায়রিটি হওয়া উচিৎ ছিল না?
মাননীয়ার সরকার কি চায়না রাজ্যবাসী আত্মনির্ভর হোক নাকি বিভিন্ন খয়রাতির নামে রাজ্যবাসীকে আজীবন মুখাপেক্ষি করে রাখাই রাজ্য সরকারের উদ্দ্যেশ্য? ভাবুন।
            ---------------------

লেখা: শ্রীযুক্ত পিনাকী মুখার্জী।
এডিট ও সংযোজন: স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়।

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. 
 Thanks & Jai Hind 🇮🇳!! Saroop Chattopadhyay.

Tuesday, September 22, 2020

পুরোহিত ভাতা Vs ইমাম ভাতা: কিছু বিশ্লেষণ ও তৃণমূলের মেকি হিন্দুপ্রেমের মুখোশ উন্মোচন।

প্রথমেই বলি একটা কথা কিছুদিন উঠেই চাপা পড়ে গেলো কেন অনেকেই বুঝলেন না!! কথাটা হল পুরোহিতদের ভাতা, এটা নিয়ে সেভাবে কথা বলতে কাউকেই দেখিনি। হ্যা মনে যারা বলেছে তারা বলেছে কিন্তু এখানে ইমাম ভাতা নিয়ে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। তার পেছনে নিশ্চই কারণ আছে।

কারণটা হলো তৃণমোল্লার sorry তৃণমূলের হিন্দুপ্রেম লোক দেখানো আর এটা মুসলিম তোষণকে আড়াল করার জন্য "শাক দিয়ে মাছ ঢাকা" এর মত একটা প্রচেষ্টা।

যাই হোক "ক্ষমতা চেঁচাচ্ছি" 2013 থেকে সম্ভবত এই স্কিম চালু করেন
যদিও প্রথমে 10000 করে টাকা দেওয়ার কথা ওঠে, তবে 2500 এই শেষে রফা দফা হয়, সেই সময় প্রায় 70000 ইমাম বাংলায় পড়াতেন।
যদিও সবাই এর জন্য apply করেননি, একটা এস্টিমেট করলে বোঝা যাবে যে প্রায় 30000 ইমাম এই স্কিম থেকে সুবিধে পাচ্ছে।
আর হ্যা এটা প্রায় 6 বছর পরিয়ে গেছে।
নিজেই যোগ গুন করে কত টাকা হচ্ছে বের করুন।

সেই সময় প্রায় 22 কোটি টাকা কোষাগার থেকে বের করা হয় এই কাজের জন্য। পরে আরও অনেক।
আর সব থেকে অবাক করার কথা হলো এই স্কিমকে সেই সময় মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অসংবিধানিক বলে ঘোষনা করে।
তবু আটকানো যায়নি।।

আচ্ছা এছাড়া 16000 মাদ্রাসাকে চিহ্নিত করা হবে ইসলাম ধর্ম পড়ানোর জন্য।
যদিও মাদ্রাসায় মূলত ইসলাম পোড়ানো হয় বলেই জানি, তবু সরকার যে এক্সট্রা জোর দিতে চায় এটার পেছনে সেটাই বলার।
যাই হোক ওই 30000 ইমাম ছাড়াও যারা নরমাল মসজিদ এ নামাজ পড়ান তারাও এই স্কিম এ apply করতে পেরেছিলেন।

আচ্ছা হ্যাঁ, এটাও বলে রাখি পুরোহিত স্কিম এ এটা বলা হয়েছে "POOR SANATANI PRIEST" মনে গরিব হতে হবে, যেখানে ইমাম ভাতায় শুধু ইমাম হলেই চলবে।
তাহলে এই ভেদাভেদ কেন?
ইমাম ভাতা মাসিক ২৫০০ টাকা করে সব ইমামদের জন্য (৩০০০০) হলে পুরোহিত ভাতা ১০০০ টাকা করে শুধুমাত্র গরীব সনাতনী ৮০০০ পুরোহিতের জন্য কেন?
এ ছাড়া হজ হাউস বানানো তো হয়েছে যার মূল্য শোনা কোথায় প্রায় 100 কোটি টাকা।
শুধু ইফতার পার্টিতে দিদি ৬৬ কোটি খরচ করেন কিন্তু দুর্গা পূজার অনুদান মাত্র ২৮ কোটি টাকা।

১)ইমাম-মোয়াজ্জেম ভাতা ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলছে অর্থাৎ ৮ বছরের ওপর।

২)প্রায় ৩০,০০০ ইমাম ২৫০০/- করে আর প্রায় ২০,০০০ মোয়াজ্জেম ১৫০০/- করে পাচ্ছে।

৩)তৃণমূল সরকার সরাসরি DM/BDO -র মাধ্যমে এই ভাতা দিচ্ছিল।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের করা PIL এ সরকার হাইকোর্টে হেরে যায়।

তখন সরকার ঘুরপথে সংখ্যালঘু উন্নয়ন বাজেটে এই টাকাটা যোগ করে ওয়াকফ বোর্ডকে দিতে শুরু করে এবং ওয়াকফ বোর্ড এই টাকা ইমাম-মোয়াজ্জেমদের মধ্যে বিতরণ করতে থাকে। 

৪)এই খাতে সরকারের বাৎসরিক খরচ ১২৬ কোটি টাকা। 

৫)৮ বছরে এই খাতে এখন অবধি মোট ১০০৮ কোটি জনগনের করের টাকা খরচ হয়ে গেছে।

৬)৮০০০ জন হিন্দু ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাসিক ১০০০ টাকা হিসেবে সরকারের মোট খরচ হতে পারে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। হিসেবটা অক্টোবর থেকে মে অবধি কারণ ঘোষণাটা সেপ্টেম্বরে হয়েছে আর বর্তমান সরকারের মেয়াদ মে মাস পর্যন্ত। 

৭)কাজেই ১০০৮ কোটি বনাম ৬.৪০ কোটির মধ্যে যতটা তফাত, ততটাই তফাত মুসলিম তোষণ আর ভোটের মুখে হিন্দু তাস খেলার প্রচেষ্টার মধ্যে।পুরোটাই ছলনাময়ীর বাগাড়ম্বর। 

৮)অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ছলনাময়ী খুব ভাল করেই জানে এই পুরোহিত ভাতা ঘোষণার বিরুদ্ধেও কোনো PIL হবে এবং ভাতাপ্রদানের প্রক্রিয়া আটকে যাবে।

৯)আসল ট্যুইস্ট এখানেই।মুসলিমদের যেমন একত্রীভূত অভিভাবক ওয়াকফ বোর্ড, হিন্দুদের তেমন কোনো একত্রীভূত সংস্থা-সংগঠন নেই।দেবোত্তর ট্রাস্ট আছে কিন্তু সেগুলোও Unified under 1 umbrella নয়।তখন ছলনাময়ী আবার কাঁদুনি গাইবেন “আমি তো দিতেই চাই।আইনে আটকে গেলেও আমার দোষ?”

১০)অতএব, গত ৮ বছর ধরে এই ভাতাপ্রদানের নামে যে নির্লজ্জ তোষণ ও জনগনের করের টাকার নয়ছয় চলছে যেভাবে, নির্বাচনের প্রাক্কালে পুরোহিত ভাতার ঘোষণা নিতান্তই হিন্দুদের জন্য কুম্ভীরাশ্রুমোচন এবং হিন্দুদরদী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার মরীয়া ও হাস্যকর প্রচেষ্টা।


কিছুদিন আগে পুরোহিত ভাতার RSS এর তরফ থেকে বিরোধিতা করায় RSS তথা বিজেপি কে মুলি + মোল্লারা হিন্দুবিরোধী বলছে দেখলাম। দেখেও হাসি পাচ্ছে, যে এখন মোল্লাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে কে হিন্দু প্রেমী কে হিন্দু বিরোধী
যেমন বছর খানেক আগে ফুরফুরা শরীফ থেকে এটা ঠিক করা হচ্ছিল রাম আমাদের ভগবান না, এটা মা কালির ভূমি আরো এরম কত নাটক দেখতে হবে কে জানে।।

আর 100 কোটির হজ হাউস তো সরকারেরই বানানো তাও আবার HIDCO এর জমির ওপর, HIDCO হলো বাংলার সরকারি কোম্পানি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।

তার মনে এই যে যেই টাকায় ইমামদের ভাতা, মসজিদ নির্মাণে সহায়তা, তথা হজ হাউস (মেদিনাতুল হাজ্জাজ) ইত্যাদি কাজে ব্যয় করা হয় সেটি সরকারি ট্যাক্স এর টাকা এবং এর মধ্যে হিন্দু মন্দির এর টাকাও উপস্থিত আছে।

কিন্তু যেহুতু ওয়াকফ বোর্ড এর নিচেই সব মসজিদ পড়ে তাই মসজিদ এর সব টাকা যায় এভাবেই বার বার হিন্দুদের বোকা বানানো হয়।
আচ্ছা দেখা যাক এখন পুরোহিত এর দিকটা:
1000 করে 8000 জন, যেটা টাকার দিক থেকেও এবং জনসংখ্যার দিক থেকেও কম (2500 আর 30000 এর তুলনায় + 16000 মাদ্রাসা তে ইসলাম পড়ানোর এর ব্যাপার টা)
আর তার চেয়েও বড় কথা এটা শুরু হচ্ছে 2020 থেকে যেখানে ইমাম পাচ্ছে 2013 থেকে প্রায় 6 বছরে অঢেল টাকা ঢালা হয়েছে ইমাম মোয়াজ্জেম দের পেছনে, আজ যদি 6 বছর পর পুরোহিত কে টাকা দেওয়ার বাই উঠলো তাহলে এই 2500×12×7=210000 এর হিসেব কিভাবে এক করা হবে
কারণ এমনিতেই 2500 এর থেকে 1000 কম তার ওপর ওই 2500 প্রায় 7 বছর ধরে দেওয়া হয়েছে তাই কিভাবে মূর্খমন্ত্রী কিভাবে মিলাবেন অঙ্ক টা সেটাই দেখার, যদি না মেলাতে পারেন ওই 1000 এর ভিক্ষার দরকার নেই কারো।

আচ্ছা এছাড়া বাংলা আবাস যোজনা এর অন্তর্গত সব গরিব পুরোহিত কে ঘর দেওয়া হবে,
প্রথমত বাংলা আবাস যোজনা তো ইন্দিরা আবাস যোজনার rebranded version তাহলে এতে মূর্খমন্ত্রী কি সাহায্য করছে বুঝলাম না!!
মনে কোনো পুরোহিত যদি ঘর পায় IAY তে তাহলে তো তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ দেওয়ার কথা মূর্খমন্ত্রী কে তো নয় নিশ্চই।।

আচ্ছা এটাও বলে রাখি এই lockdown এ প্রায় 200000 পুরোহিত কাজ হারিয়েছে, যেখানে ইমাম কিন্তু মাসে মাসে ভাতা ঠিক পাচ্ছে।
তাহলে 200000 এর জায়গায় 8000 কেন?
ক্ষমা করবেন মূর্খমন্ত্রী আপনার স্কিম মাথায় ঢুকছেনা।

সত্যি বলতে কি আমি চাইনা কেউই টাকা পাক  না ইমাম না পুরোহিত
আমি এটাও চাই যে মন্দির কে সরকারের হাত থেকে বের করা হোক তথা একটি বাংলা কেন্দ্রীয় স্বাধীন সংস্থা "Bengal Mandir Committee" 

Type এর কিছু গঠন করে বাংলার প্রতিটি মন্দির দেখাশোনা করা হোক।

তথা মন্দির এর প্রনামির টাকা গরিব হিন্দুর স্বার্থে লাগানো হোক, ও মন্দির নির্মাণ, ভগবৎ পাঠ, তথা আরো ধর্মীয় শিক্ষার পেছনে লাগানো হোক।
আর এই মন্দির কমিটিই হবে বাংলার হিন্দু জাগরণ এর কেন্দ্র।
আমি চাইনা আমার মন্দির এ দেওয়া একটা টাকাও যেন কোনো মোল্লা/ইমাম পাক।
আমার প্রনামির টাকা মন্দির তথা হিন্দুর স্বার্থে, এখানে মুসলিম এর প্রতি ঘৃণা নেই শুধু হিন্দু একতার ভালোবাসা আছে।

Note:
নিউজ সোর্স : livemint, TOI, ইত্যাদি।
লেখা টুইটার থেকে by "Big Smoke" @AdvocadoJi & "Joyride" @AMLAN_KOLKATA 
Edited and some points added by me.

ভালো লাগলে শেয়ার করুন, ভালো থাকবেন সবাই।

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.
 Thanks & Jai Hind 🇮🇳!! Saroop Chattopadhyay.

Sunday, September 20, 2020

"তোমার দুর্গা ও আমার দুর্গা" ~ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায়


তোমার দুর্গা নীরবে বসে আজান শুনে যায়,
আমার দুর্গা দিন গোনে চন্ডীপাঠের অপেক্ষায়।।

তোমার দুর্গা দুঃখীর অন্ন চুরি করে খায়,
আমার দুর্গা দুঃখীর দুঃখে অশ্রু ঝরায়।।

তোমার দুর্গার দু নয়নে শুধুই গরিবের রক্ত দেখা,
আমার দুর্গার দুহাত দুষ্ট দমনের রক্তে মাখা।।


তোমার দুর্গা জনগণের থেকে কাটমানি খায়,
আমার দুর্গা মাতৃপ্রেমে অন্ন বিলয়।।

তোমার দুর্গা মানুষ মেরে গাছে টাঙিয়ে রাখে,
আমার দুর্গা আঁচল দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে।।

তোমার দুর্গা শুধুই গোল্লা কেটে যায়,
আমার দুর্গা সাড়া দেয় মানুষের প্রার্থনায়।।

তোমার দুর্গা আঁকশি দিয়ে লাশ টানায়,
আমার দুর্গা দুহাতে দুঃখীর চোখের জল মোছায়।।

 ~ স্বরূপ চট্টোপাধ্যায় 
   20/09/2020

Edited on 17th Oct'20
এর সঙ্গে শ্রী অমিত গাঙ্গুলীর ৪টি লাইন যোগ করে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না, ফেসবুক এ ও কাটমানি + চপশিল্প দলের চ্যংড়া মুখপাত্রকে এত সুন্দর উত্তর দিয়েছে যে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।
ও লিখেছে:
আমার দুর্গা একটাই তাকে দশভূজা বলে জানি, 
মানুষকে মানুষ বলুন কোন ভগবান নন তিনি।।
পুরো পোস্ট ও কমেন্টটি নিচে রইল।


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.   
Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

"তাজিয়া ও মা দুর্গা" A BENGALI POEM UNMASKING TRUTH OF SECULARISM IN BENGAL


তাজিয়া যাবে, 
দূর্গা তুমি সরে দাঁড়াও ,
পুজোমণ্ডপে আজান কিন্তু মসজিদে চণ্ডীপাঠ ভুলেও নয়??



ভোট এলে 
তুমিই আবার হিন্দু জাগাও।

চেলোনা এমন ইবলিশী চাল,
ক্লান্ত আমি বুকের ব্যাথায় 
শক্ত চোয়াল,তিলক মাথায় 
ভোট বাক্সে জনগন খিচবে তোমার খাল...
জয় মা দূর্গা দুর্গতিনাশিনী🙏

From Twitter.

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post.
 Thanks & Vande Mataram!!
 Saroop Chattopadhyay.

Thursday, September 17, 2020

শুভ মহালয়া কথাটি ভুল, আজ সর্বপিতৃ অমাবস্যা। কোন আনন্দের দিন নয়।

আজ শুভ মহালয়া নয়। আজ 'সর্বপিতৃ অমাবস্যা'।

কোন কোন লোকজন শুভ মহালয়া বলছে তাদের কোন এক নদীর ধারে বসিয়ে খুর দিয়ে মাথা কামিয়ে মাথায় টুপি পড়িয়ে ছেড়ে দেওয়া হোক। মানুষের ন্যুনতম সাধারণ জ্ঞান বা নিজের ধর্মীয় আচার আচরণের সম্পর্কে জ্ঞান থাকে।

 আজ অমাবস্যা। পিতৃ পক্ষের শেষ দিন। পিতৃ অর্থে এখানে পূর্বপুরুষ। এক পক্ষকাল যাবৎ প্রতিদিন পিতৃ পুরুষের শ্রাদ্ধ হয়। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী তিথিতে শ্রাদ্ধ হয় অর্থাৎ যে সপ্তমীতে মারা গেছে তার সপ্তমীতে, যে অষ্টমীতে শ্রাদ্ধ হয়।
 কিন্তু সব পূর্বপুরুষের তিথি জানা এবং সব দিনগুলোয় শ্রাদ্ধ করা সম্ভব নয় বলে অমাবস্যার দিন সবার জন্য শ্রাদ্ধ করা যায়। শ্রাদ্ধ মানে তর্পণ। পূর্বপুরুষের আত্মার উদ্দেশ্যে জল আর খাদ্যদ্রব্য নিবেদন করা হয় বা তর্পণ করা হয়। এই পুরো পিতৃ পক্ষ অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। কোন শুভ কাজ করতে নেই। আর আজ 'সর্বপিতৃ অমাবস্যা'। আজ সব পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করা যায়। আজ কাউকে শুভেচ্ছা জানানো বা শুভ মহালয়া বলা সম্ভব?


 আজ দেবী দুর্গার আবাহনও হয় না। আমরা যেটা এত বছর ধরে রেডিওতে শুনছি সেটা চণ্ডীপাঠের অংশ। আগামীকাল প্রতিপদ থেকে শুরু হবে দেবী পক্ষ। দেবীর আবাহন কাল হওয়া উচিত। 

নব রাত্রি 
যারা পালন করে তারা সবাই প্রতিপদের দিন ভোরে দেবীর আবাহন করে ঘট স্থাপনা করে। আমি প্রথম বছর নবরাত্রি করার সময় মহালয়ায় ঘট স্থাপনা করতে গিয়ে প্রচুর ভর্ৎসনা খেয়েছিলাম। আমাদের শেখানোই হয় না কোন রীতিনীতি। এদিকে পুজো আসছে বলে আমরা যারা লাফাচ্ছি তারা পুজোয় কি কি খাব তার পরিকল্পনা করতে শুরু করি।

 কিছু বললেই বলবে 'আমি নাস্তিক'। (প্রসঙ্গতঃ জানিয়ে রাখি আমি আবার নাস্তিক না, নেহাত ছাপোষা ধর্মভীরু মানুষ। নাস্তিক হবার মত ধৃষ্টতা ও স্পর্ধা আমার নেই।) তা নাস্তিক যে কেউ হতে পারে। সে যে কোন দিন বিরিয়ানি খেতে পারে। তার তাকে পুজো নামক নেহাত ধর্মীয় আচারের অপেক্ষা কেন করতে হয় তার এখনও বোধগম্য হল না। হিন্দু ধর্ম যে এখনও আমাদের তার অন্তর্গত রেখেছে এই আমাদের পরম সৌভাগ্য। এখনও পর্যন্ত বলে নি যে বাঙ্গালী একপ্রকার ম্লেচ্ছ। কাল মধ্য রাত থেকে যারা ইনবক্সে শুভ মহালয়া লেখা আজগুবি সব শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন তাদের জন্য রইল ম্লেচ্ছ হবার শুভকামনা।
সকালে রেডিওতে মহালয়া হয় যে।
ওটা মহালয়া নয়। ওটা "মহিষাসুরমর্দিনী" নামের একটি অনুষ্ঠান। এর সঙ্গেও মহালয়া'র কোনো সম্পর্ক নেই। এই দিনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়, এই পর্যন্তই।

- তাহলে মহালয়াটা কি ?

- মহালয়া কথাটি এসেছে 'মহত্‍ আলয়' থেকে। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয় যে পিতৃপুরুষেরা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়।প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের 'তৃপ্ত' করা হয়। 

এর সঙ্গে দুর্গা পূজো নয়, মহাভারতের যোগ আছে।
 মৃত্যুর পর কর্ণের আত্মা পরলোকে গমন করলে তাঁকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ ও রত্ন দেওয়া হয়েছিলো। কর্ণ এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে বলা হয়, তিনি সারা জীবন স্বর্ণ ও রত্ন দান করেছেন, কিন্তু প্রয়াত পিতৃগণের উদ্দেশ্যে কখনও খাদ্য বা পানীয় দান করেননি। তাই স্বর্গে খাদ্য হিসেবে তাঁকে সোনাই দেওয়া হয়েছে। বিমর্ষ কর্ণ বলেন, তাঁর পিতৃপুরুষ কারা সেটা তো তিনি মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেই জানতে পেরেছেন। তার দোষ কোথায়! যমরাজ তখন বোঝেন, সত্যিই তো, এতে কর্ণের কোনো দোষ নেই। এই কারণে কর্ণকে পক্ষকালের জন্য ফের মর্ত্যে ফিরে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয়! এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়। 

আর সেই থেকেই হিন্দুদের মধ্যে তর্পণের প্রথা চালু হয়। 🙏
আপনার প্রিয়জনের শ্রাদ্ধের দিন কেউ যদি আপনাকে 'হ্যাপি আপনার বাপ-ঠাকুদ্দার শ্রাদ্ধ' বা 'শুভ শ্রাদ্ধ' বলে, আপনার কেমন লাগবে? 

না বুঝেই তো আমরা কতকিছু বলি। 

এই দিনটিতে কিন্তু "শুভ মহালয়া" বলা যাবে না।

#Collected

Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. 
   Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Sunday, September 6, 2020

অনুপস্থিত ছাগল সিন্ড্রোম (Missing Goat Syndrome) বা অনুপস্থিত টাইলস সিন্ড্রোম (Missing Tiles Syndrome)


পড়ন্ত বিকেলে ক্লাস শেষে, কয়েকজন ছাত্র স্কুলের খেলার মাঠে খেলছিল। শেষ বিকেলে হঠাৎ তারা আবিষ্কার করল, খেলার মাঠের অন্য দিকে তিনটি ছাগল ঘাস খাচ্ছে। দলের নেতার মাথায় হঠাৎ একটা বুদ্ধি খেলে গেল।  সে অন্যান্য ছেলেদের বোঝাল,  "ছাগলগুলোর মাথায় নম্বর লিখে দিলে কেমন হয়?" তিনটি ছাগলকে ধরা হোল, রং এবং ব্রাশের ব্যবস্থাও হয়ে গেল। ছাগলগুলিকে নম্বর দেওয়া হল; ১, ২, ৪, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তারা “৩” নম্বরটি  লিখল না। 

এরপর তারা তিনটি ছাগলকে সারা রাতের জন্য পর্যাপ্ত ঘাস এবং ঝোপঝাড়ের পাতা সমেত স্কুল ভবনের ভিতরে ঠেলে দিল। ততক্ষণে বিকেল শেষ, ছেলেগুলি নিজেদের বাড়ি চলে গেল। পরের দিন সকালে স্কুল খোলার জন্য চাবি নিয়ে পিওন ঠিক সময়ে হাজির। তালা খুলতে গিয়ে নাকে এল তীব্র প্রস্রাব এবং বিষ্ঠার গন্ধ। তিনি অনুমান করতে পারলেন, নিশ্চয়ই  কোন গবাদি পশু, স্কুল ভবনের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তালা না খুলে, অন্যদের  আসার জন্য কিছু সময়ের জন্য অপেক্ষা করল।

 কয়েক মিনিট পরে, প্রিন্সিপাল, সমস্ত শিক্ষক, ছাত্র, অফিস স্টাফ ধীরে ধীরে স্কুল-ভবনের গেটে জড়ো হয়ে গেল। যথারীতি, প্রিন্সিপাল নেতৃত্ব দিলেন এবং তালা খোলা হল। একজন অতি উৎসাহী ছাত্র গেটের কাছে সিঁড়িতে ছাগলের বিষ্ঠা দেখে চেঁচিয়ে উঠল। বোঝা গেল, যে ভাবেই হোক স্কুল-ভবনে ছাগল প্রবেশ করেছে।
প্রিন্সিপালের নির্দেশে অনুসন্ধান শুরু হয়ে গেল। বারান্দা, শ্রেণিকক্ষ, অফিস এবং এমনকি ওয়াশরুম পর্যন্ত খুঁজে শেষ পর্যন্ত তিনটি ছাগল আবিষ্কার করা গেল।

ছাগলগুলিকে অধ্যক্ষের ঘরে নিয়ে আসা হল।  দেখা গেল, প্রত্যেকটি ছাগলের মাথায় একটি করে সংখ্যা লেখা আছে। অবাক কান্ড, সংখ্যা গুলি ১, ২ এবং ৪; সমস্যা হল যেহেতু ৪-নম্বরের ছাগল পাওয়া গেছে, তা হলে ৩-নম্বরের ছাগলটি গেল কোথায়? 


 প্রিন্সিপাল, সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে আলোচনা করলেন এবং আরও একবার গভীর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন। 
কৃতিত্ব নিতে প্রত্যেকে, পাগলের মত, ৩-নম্বর ছাগল খুঁজতে লাগল। আশ্চর্যভাবে ৩-নম্বর ছাগল সন্ধানকারীদের মধ্যে কেউই ৫-নম্বর  ছাগলের সম্ভাবনা ভেবে দেখল না। যেহেতু ৪-নম্বর ছাগল পাওয়া গেছে, তাই তারা নিশ্চিত ছিল, ৩-নম্বর ছাগল নিশ্চয়ই আছে। 


সারাদিন অনুসন্ধান চলতে থাকল। ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া হল। সবাই ক্লান্ত। ধীরে ধীরে আতঙ্ক ও হতাশার সৃষ্টি হল। অনিবার্যভাবে ৩-নম্বর ছাগলটি খুঁজে পাওয়া গেল না। কারণ এটির কখনও অস্তিত্ব ছিল না।

গল্পটি খুবই ছোট এবং মজার। তবে এটি এক গভীর শিক্ষা দেয় এবং তা সমস্ত মানব সমাজের জন্য প্রযোজ্য।

আমাদের মধ্যে অনেক আছেন, যারা একটি ভাল জীবন এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রায় সবকিছুই থাকা সত্ত্বেও, সবসময় একটি "তৃপ্তির অভাব" বোধ করতে থাকেন। করুণভাবে, হন্যে হয়ে খুঁজছেন  সেই ছাগল নম্বর-৩, যেটি বাস্তবে অনুপস্থিত বা অধরা। 

মনস্তত্ববিদরা এটিকে বলেন "মিসিং গোট সিনড্রোম" বা " মিসিং টাইলস সিনড্রোম"। এটি হল যা আছে তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে, সোনার হরিন খুঁজে বেড়ানো। সব  জিনিসের উপস্থিতি সত্বেও যা নেই তার জন্য বিলাপ করা। নিখোঁজ ছাগল নম্বর-৩ এর বিলাপ এড়ানোর সর্বোত্তম উপায় হ'ল ওইসব ব্যক্তিদের দিকে তাকানো, যারা বিলাসিতা তো দূর, তাদের প্রাথমিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। 

একটু ভেবে দেখুন:
▶️ “যদি আপনার ফ্রিজে খাবার থাকে, আপনার পরনের কাপড় থাকে, আপনার মাথার উপর একটি ছাদ থাকে এবং ঘুমানোর একটি জায়গা হয় তবে আপনি বিশ্বের ৭৫ শতাংশের চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ।    
▶️ যদি আপনার ব্যাঙ্কে টাকা থাকে, আপনার মানিব্যাগ এবং কিছু খুচরো থাকে, তবে আপনি বিশ্বের ৮ শতাংশ ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন।    
▶️ যেহেতু, সুস্থ শরীরে আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন, তবে আপনি এক মিলিয়ন লোকের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান যারা এই সপ্তাহে বেঁচে থাকবে না।  
▶️ আপনি যদি কখনও যুদ্ধের ঝুঁকি, কারাবন্দি বা নির্যাতনের যন্ত্রণা বা অনাহারে ভয়াবহ যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা না পেয়ে এখন ও বেঁচে আছেন তাহলে আপনি ৫০০ মিলিয়ন মানুষের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান। 
▶️ যদি আপনি এই লেখাটা পড়তে পারেন, আপনি বিশ্বের ৩ বিলিয়ন মানুষের চেয়ে যারা এ সব পড়তে পারে না তাদের চেয়ে বেশি ভাগ্যবান। 

কোনরকম উদ্বেগ ছাড়াই জীবনটি অনেক বেশি সুখী হবে, যদি আমাদের যা আছে তা উপলব্ধি করি, জীবনের রঙগুলির প্রশংসা করি, আমাদের জীবনে প্রতিটি ব্যক্তির অনন্য গুণাবলীর প্রশংসা করি। সুতরাং, সুখ বা সাফল্যকে তাড়া করবেন না। এটি পৌঁছনোর কোনও গন্তব্য নয়, কেবলমাত্র হয়ে ওঠার যাত্রা। আপনার যে কোন অবস্থায়, পছন্দ করার অধিকার আছে একটি সুখী ও সফল জীবনের। কারণ ৩-নম্বর ছাগল কখনই খুঁজে পাবেন না, কারন এর বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই। 

জীবন যেমনটি আছে, সেইভাবে উপভোগ করুন। আপনার যা আছে তা দিয়ে আপনার জীবন উপভোগ করুন। প্রথমে আপনার পরিবারের সাথে এটি শুরু করুন, আপনার স্ত্রী, বাবা-মা, সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ির দুর্দান্ত গুণাবলী দেখুন এবং তারপরে বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং সহকর্মীদের কাছে যান। 

কাল্পনিক, অস্তিত্ববিহীন সোনার হরিন বা ৩-নম্বর ছাগল খুঁজে, আর আপনার সময় এবং সুখ নষ্ট করবেন না।
                                 (সংগৃহীত)

 Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Mataram!! Saroop Chattopadhyay.

Thursday, September 3, 2020

ভারতীয় সেনাবহিনীকে কুর্নিশ জানাই চীনের থেকে নিজেদের জায়গা ছিনিয়ে নেয়ার জন্য। ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম লাদাখের এই স্থানগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পা রাখলো।

Bravo Indian Army 🇮🇳💪👍🙏
দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে গিয়ে চীনের কাপুরুষোচিত হামলায় ২০ জন জওয়ান যখন শহীদ হয়েছিলেন তখন আপামর বিরোধী দল রে রে করে নেমে পড়েছিল ভারত সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে।

কেউ কেউ ঘুম থেকে ওঠা থেকে ঘুমোতে যাওয়া অবধি টুইট করছিলেন সরকারের বিরুদ্ধে। কমিউনিস্টদের কথা বাদই দিলাম, চৈনিক পিতৃদেবের হয়ে গলা ফাটাতে গিয়ে ভারতকে পৃথিবীর সামনে ছোট দেখানোর সে কি আকুল প্রয়াস। চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইটা ভারতের হচ্ছে না চীনের বিরুদ্ধে একটি দল লড়ছে সেটা বুঝতেই অনেকটা সময় কেটে গেছিল দেশবাসীর। তখন কিন্তু দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর সাথে আমিও বলেছিলাম জওয়ানদের বলিদান বৃথা যাবেনা। 

তারপর হঠাৎ করেই ২৯/৩০ এর আগষ্টের রাতের পর চীন আর ভারতে বসে থাকা বুকের বাঁ দিকে চীন চীন করা লোকজনকে অবাক করে দিয়ে প্যাংগং সো এর দক্ষিণে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি হাইট ও পাস দখল করে সেখানে ভারতীয় পতাকা  উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা।

★★★ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলি হল :--

১. ব্ল্যাক টপ হাইট


২. হেলমেট টপ হাইট
৩. ত্রিশুল হাইট
৪. স্প্যাঙ্গুর পাস
৫. র্যাকিং লা পাস।


প্রসঙ্গত ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম লাদাখের এই স্থানগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পা রাখলো। ১৯৬২ সালে এই স্থানগুলিতেই ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল, আর সেই যুদ্ধের পর নেহেরুর বদান্যতায় চীনারা এই অঞ্চল গুলি ভারতের হাত থেকে দখল করে নিয়েছিল।
পুনরায় এই অঞ্চল গুলিতে ভারত নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে।

এত বড় ঘটনা ঘটে যাবার পরেও কোন বিরোধী দলকে কেন্দ্রীয় সরকার বা নিদেনপক্ষে দেশের সেনাকে অভিনন্দন জানিয়ে কোন বার্তা দিতে দেখেছেন??
সেনা জওয়ানদের দুর্ভাগ্যজনকভাবে শহীদ হওয়াটা যদি সরকার বা সেনাবাহিনীর ব্যর্থতা হয় তাহলে এই সাফল্যের কৃতিত্বও কি ওনাদের প্রাপ্য নয়??
ভারত সরকার ও ভারতীয় সেনাবহিনী কিন্তু কথা রেখেছেন। সেনাদের বলিদান বৃথা যায়নি।

শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যপ্রনোদিত হয়ে বিরোধীতা করতে গিয়ে বিরোধীরা ভুলেই গেছে চীনা আগ্রাসনে বিপদে পড়বে গোটা দেশ। চীন ভারতের ভূখন্ড দখলের জন্য অতর্কিতে হামলা করেছিল। বিজেপির পার্টি অফিস নয়। আজ যখন ভারতীয় সেনা যোগ্য প্রত‍্যুত্তর দিচ্ছে তখনও বিরোধীরা বুঝে উঠতে পারেনি লড়াইটা ভারত বনাম চীন। বিজেপি বনাম চীন নয়। তারা ভারতীয় সেনার সাফল্যে হয়তো গর্বিত নয়। তাই তারা চুপ।

কিন্তু চিনের পিউপীলস লিবারেশন আর্মির ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কম্যন্ড এর মুখপাত্র জ্যাং সুইলি বলেন ইন্ডিয়ান আর্মি আবারও হুনান কোস্ট ও রেকিন মাউন্টেন পাস দখল করেছে। 

এই হুনান কোস্ট ও রেকিন মাউন্টেন পাস ১৯৬২ সালে চীন ভারতের থেকে দখল করে নেয়। অর্থাত দীর্ঘ ৫৮ বছর পর আমরা আবার আমাদের জায়গা ছিনিয়ে নিয়েছি। এই মুহূর্তে লাদাখে চীনের দাবি করা অংশের ৪ কিমি দখল করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান আর্মি।
বহুদিন ধরে আমাদের সেনাবাহিনী কে ফ্রি হ্যান্ড দেওয়া হয় নি, একবার ফ্রি হ্যান্ড দেওয়ার পর দেখছেন তো কি শুরু হয়েছে।

আপনি চুপ করে থাকবেন নাকি ভারতীয় সেনার সাফল্যে উচ্ছসিত হবেন সেটা কিন্তু এবার আপনাকেই ঠিক করতে হবে। আর সাথে এটাও মনে রাখতে হবে ব্যর্থতার সব দায়ভার যখন সরকার ও সেনার কাঁধে চাপানো হয়েছিল তখন সাফল্যের কৃতিত্বও তাদের ই প্রাপ্য।

জয় হিন্দ। বন্দেমাতরম। ভারত মাতা কি জয়। 🇮🇳💪👍🙏🇮🇳


Please see other posts in this blog page by clicking "Home" or from "My Favorite Posts" / "Popular Posts" / "Archives" sections, and if any remarks please feel free to post. Thanks & Vande Jai Hind 🇮🇳!! Saroop Chattopadhyay.

Some recent posts

ভগবান রামচন্দ্র (রঘুবীর) ও ঠাকুর শ্রী রামকষ্ণ পরমহংস দেব, আর বর্তমানের সেক্যুলার (আসলে সিক কুলার) গণ।

শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন ৺রঘুবীর। তিনি নিজে  দেবতার কবচ পরতেন, তাঁর পার্থিব শরীর পঞ্চভূতে লয় হওয়ার পরবর্তী সময়ে শ্রীমা সেই পবিত্র কব...