প্রথমেই বলি একটা কথা কিছুদিন উঠেই চাপা পড়ে গেলো কেন অনেকেই বুঝলেন না!! কথাটা হল পুরোহিতদের ভাতা, এটা নিয়ে সেভাবে কথা বলতে কাউকেই দেখিনি। হ্যা মনে যারা বলেছে তারা বলেছে কিন্তু এখানে ইমাম ভাতা নিয়ে অনেক কিছু লেখা হচ্ছে। তার পেছনে নিশ্চই কারণ আছে।
কারণটা হলো তৃণমোল্লার sorry তৃণমূলের হিন্দুপ্রেম লোক দেখানো আর এটা মুসলিম তোষণকে আড়াল করার জন্য "শাক দিয়ে মাছ ঢাকা" এর মত একটা প্রচেষ্টা।
যাই হোক "ক্ষমতা চেঁচাচ্ছি" 2013 থেকে সম্ভবত এই স্কিম চালু করেন
যদিও প্রথমে 10000 করে টাকা দেওয়ার কথা ওঠে, তবে 2500 এই শেষে রফা দফা হয়, সেই সময় প্রায় 70000 ইমাম বাংলায় পড়াতেন।
যদিও সবাই এর জন্য apply করেননি, একটা এস্টিমেট করলে বোঝা যাবে যে প্রায় 30000 ইমাম এই স্কিম থেকে সুবিধে পাচ্ছে।
আর হ্যা এটা প্রায় 6 বছর পরিয়ে গেছে।
নিজেই যোগ গুন করে কত টাকা হচ্ছে বের করুন।
সেই সময় প্রায় 22 কোটি টাকা কোষাগার থেকে বের করা হয় এই কাজের জন্য। পরে আরও অনেক।
আর সব থেকে অবাক করার কথা হলো এই স্কিমকে সেই সময় মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট অসংবিধানিক বলে ঘোষনা করে।
তবু আটকানো যায়নি।।
আচ্ছা এছাড়া 16000 মাদ্রাসাকে চিহ্নিত করা হবে ইসলাম ধর্ম পড়ানোর জন্য।
যদিও মাদ্রাসায় মূলত ইসলাম পোড়ানো হয় বলেই জানি, তবু সরকার যে এক্সট্রা জোর দিতে চায় এটার পেছনে সেটাই বলার।
যাই হোক ওই 30000 ইমাম ছাড়াও যারা নরমাল মসজিদ এ নামাজ পড়ান তারাও এই স্কিম এ apply করতে পেরেছিলেন।
আচ্ছা হ্যাঁ, এটাও বলে রাখি পুরোহিত স্কিম এ এটা বলা হয়েছে "POOR SANATANI PRIEST" মনে গরিব হতে হবে, যেখানে ইমাম ভাতায় শুধু ইমাম হলেই চলবে।
তাহলে এই ভেদাভেদ কেন?
ইমাম ভাতা মাসিক ২৫০০ টাকা করে সব ইমামদের জন্য (৩০০০০) হলে পুরোহিত ভাতা ১০০০ টাকা করে শুধুমাত্র গরীব সনাতনী ৮০০০ পুরোহিতের জন্য কেন?
এ ছাড়া হজ হাউস বানানো তো হয়েছে যার মূল্য শোনা কোথায় প্রায় 100 কোটি টাকা।
শুধু ইফতার পার্টিতে দিদি ৬৬ কোটি খরচ করেন কিন্তু দুর্গা পূজার অনুদান মাত্র ২৮ কোটি টাকা।
১)ইমাম-মোয়াজ্জেম ভাতা ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে চলছে অর্থাৎ ৮ বছরের ওপর।
২)প্রায় ৩০,০০০ ইমাম ২৫০০/- করে আর প্রায় ২০,০০০ মোয়াজ্জেম ১৫০০/- করে পাচ্ছে।
৩)তৃণমূল সরকার সরাসরি DM/BDO -র মাধ্যমে এই ভাতা দিচ্ছিল।বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের করা PIL এ সরকার হাইকোর্টে হেরে যায়।
তখন সরকার ঘুরপথে সংখ্যালঘু উন্নয়ন বাজেটে এই টাকাটা যোগ করে ওয়াকফ বোর্ডকে দিতে শুরু করে এবং ওয়াকফ বোর্ড এই টাকা ইমাম-মোয়াজ্জেমদের মধ্যে বিতরণ করতে থাকে।
৪)এই খাতে সরকারের বাৎসরিক খরচ ১২৬ কোটি টাকা।
৫)৮ বছরে এই খাতে এখন অবধি মোট ১০০৮ কোটি জনগনের করের টাকা খরচ হয়ে গেছে।
৬)৮০০০ জন হিন্দু ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাসিক ১০০০ টাকা হিসেবে সরকারের মোট খরচ হতে পারে ৬ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। হিসেবটা অক্টোবর থেকে মে অবধি কারণ ঘোষণাটা সেপ্টেম্বরে হয়েছে আর বর্তমান সরকারের মেয়াদ মে মাস পর্যন্ত।
৭)কাজেই ১০০৮ কোটি বনাম ৬.৪০ কোটির মধ্যে যতটা তফাত, ততটাই তফাত মুসলিম তোষণ আর ভোটের মুখে হিন্দু তাস খেলার প্রচেষ্টার মধ্যে।পুরোটাই ছলনাময়ীর বাগাড়ম্বর।
৮)অতীত অভিজ্ঞতা থেকে ছলনাময়ী খুব ভাল করেই জানে এই পুরোহিত ভাতা ঘোষণার বিরুদ্ধেও কোনো PIL হবে এবং ভাতাপ্রদানের প্রক্রিয়া আটকে যাবে।
৯)আসল ট্যুইস্ট এখানেই।মুসলিমদের যেমন একত্রীভূত অভিভাবক ওয়াকফ বোর্ড, হিন্দুদের তেমন কোনো একত্রীভূত সংস্থা-সংগঠন নেই।দেবোত্তর ট্রাস্ট আছে কিন্তু সেগুলোও Unified under 1 umbrella নয়।তখন ছলনাময়ী আবার কাঁদুনি গাইবেন “আমি তো দিতেই চাই।আইনে আটকে গেলেও আমার দোষ?”
১০)অতএব, গত ৮ বছর ধরে এই ভাতাপ্রদানের নামে যে নির্লজ্জ তোষণ ও জনগনের করের টাকার নয়ছয় চলছে যেভাবে, নির্বাচনের প্রাক্কালে পুরোহিত ভাতার ঘোষণা নিতান্তই হিন্দুদের জন্য কুম্ভীরাশ্রুমোচন এবং হিন্দুদরদী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করার মরীয়া ও হাস্যকর প্রচেষ্টা।
কিছুদিন আগে পুরোহিত ভাতার RSS এর তরফ থেকে বিরোধিতা করায় RSS তথা বিজেপি কে মুলি + মোল্লারা হিন্দুবিরোধী বলছে দেখলাম। দেখেও হাসি পাচ্ছে, যে এখন মোল্লাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে কে হিন্দু প্রেমী কে হিন্দু বিরোধী
যেমন বছর খানেক আগে ফুরফুরা শরীফ থেকে এটা ঠিক করা হচ্ছিল রাম আমাদের ভগবান না, এটা মা কালির ভূমি আরো এরম কত নাটক দেখতে হবে কে জানে।।
আর 100 কোটির হজ হাউস তো সরকারেরই বানানো তাও আবার HIDCO এর জমির ওপর, HIDCO হলো বাংলার সরকারি কোম্পানি ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট এর জন্য।
তার মনে এই যে যেই টাকায় ইমামদের ভাতা, মসজিদ নির্মাণে সহায়তা, তথা হজ হাউস (মেদিনাতুল হাজ্জাজ) ইত্যাদি কাজে ব্যয় করা হয় সেটি সরকারি ট্যাক্স এর টাকা এবং এর মধ্যে হিন্দু মন্দির এর টাকাও উপস্থিত আছে।
কিন্তু যেহুতু ওয়াকফ বোর্ড এর নিচেই সব মসজিদ পড়ে তাই মসজিদ এর সব টাকা যায় এভাবেই বার বার হিন্দুদের বোকা বানানো হয়।
আচ্ছা দেখা যাক এখন পুরোহিত এর দিকটা:
1000 করে 8000 জন, যেটা টাকার দিক থেকেও এবং জনসংখ্যার দিক থেকেও কম (2500 আর 30000 এর তুলনায় + 16000 মাদ্রাসা তে ইসলাম পড়ানোর এর ব্যাপার টা)
আর তার চেয়েও বড় কথা এটা শুরু হচ্ছে 2020 থেকে যেখানে ইমাম পাচ্ছে 2013 থেকে প্রায় 6 বছরে অঢেল টাকা ঢালা হয়েছে ইমাম মোয়াজ্জেম দের পেছনে, আজ যদি 6 বছর পর পুরোহিত কে টাকা দেওয়ার বাই উঠলো তাহলে এই 2500×12×7=210000 এর হিসেব কিভাবে এক করা হবে
কারণ এমনিতেই 2500 এর থেকে 1000 কম তার ওপর ওই 2500 প্রায় 7 বছর ধরে দেওয়া হয়েছে তাই কিভাবে মূর্খমন্ত্রী কিভাবে মিলাবেন অঙ্ক টা সেটাই দেখার, যদি না মেলাতে পারেন ওই 1000 এর ভিক্ষার দরকার নেই কারো।
আচ্ছা এছাড়া বাংলা আবাস যোজনা এর অন্তর্গত সব গরিব পুরোহিত কে ঘর দেওয়া হবে,
প্রথমত বাংলা আবাস যোজনা তো ইন্দিরা আবাস যোজনার rebranded version তাহলে এতে মূর্খমন্ত্রী কি সাহায্য করছে বুঝলাম না!!
মনে কোনো পুরোহিত যদি ঘর পায় IAY তে তাহলে তো তার জন্য প্রধানমন্ত্রী কে ধন্যবাদ দেওয়ার কথা মূর্খমন্ত্রী কে তো নয় নিশ্চই।।
আচ্ছা এটাও বলে রাখি এই lockdown এ প্রায় 200000 পুরোহিত কাজ হারিয়েছে, যেখানে ইমাম কিন্তু মাসে মাসে ভাতা ঠিক পাচ্ছে।
তাহলে 200000 এর জায়গায় 8000 কেন?
ক্ষমা করবেন মূর্খমন্ত্রী আপনার স্কিম মাথায় ঢুকছেনা।
সত্যি বলতে কি আমি চাইনা কেউই টাকা পাক না ইমাম না পুরোহিত
আমি এটাও চাই যে মন্দির কে সরকারের হাত থেকে বের করা হোক তথা একটি বাংলা কেন্দ্রীয় স্বাধীন সংস্থা "Bengal Mandir Committee"
Type এর কিছু গঠন করে বাংলার প্রতিটি মন্দির দেখাশোনা করা হোক।
তথা মন্দির এর প্রনামির টাকা গরিব হিন্দুর স্বার্থে লাগানো হোক, ও মন্দির নির্মাণ, ভগবৎ পাঠ, তথা আরো ধর্মীয় শিক্ষার পেছনে লাগানো হোক।
আর এই মন্দির কমিটিই হবে বাংলার হিন্দু জাগরণ এর কেন্দ্র।
আমি চাইনা আমার মন্দির এ দেওয়া একটা টাকাও যেন কোনো মোল্লা/ইমাম পাক।
আমার প্রনামির টাকা মন্দির তথা হিন্দুর স্বার্থে, এখানে মুসলিম এর প্রতি ঘৃণা নেই শুধু হিন্দু একতার ভালোবাসা আছে।
Note:
নিউজ সোর্স : livemint, TOI, ইত্যাদি।
লেখা টুইটার থেকে by "Big Smoke" @AdvocadoJi & "Joyride" @AMLAN_KOLKATA
Edited and some points added by me.
ভালো লাগলে শেয়ার করুন, ভালো থাকবেন সবাই।
Excellent write up. You have totally unmasked this game
ReplyDelete